সর্বশেষ
কাঠগড়ায় ফুঁপিয়ে কাঁদলেন তুরিন আফরোজ, সান্ত্বনা দিলেন ইনু
কুয়েটে শিক্ষা উপদেষ্টা, অনশনে অনড় শিক্ষার্থীরা
ইংল্যান্ড সফরেও ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাই
আসামি গ্রেফতারে লাগবে না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি: হাইকোর্ট
পেহেলগাম পর্যটকদের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল পাকিস্তান
জমে উঠছে ‌‘টাকার ডাক্তার’ ক্লিনিক
পোপ ফ্রান্সিসের নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে আর্জেন্টিনায়
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়তে ওসিকে ছাত্রদল নেতার সুপারিশ
কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে তিন যুবক নিহত
টিকটকে পরিচয়ে প্রেম, মেয়ে স্ত্রী’র দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে 
কেন নারীদেরই বেশি রক্তশূন্যতা হয় কেন
একই সঙ্গে ফ্যাশন আর আবেদনে দশে দশ এই অভিনেত্রী, বলছে তাঁর সাম্প্রতিক যত লুক
বয়স বাড়লেও দৃষ্টি ঈগলের মতো রাখবে যে ৫ খাবার
রাজধানীতে বাড়তে পারে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনা কম
মৌলিক বিষয়ে এখনও মতভিন্নতা কাটেনি

কেন নারীদেরই বেশি রক্তশূন্যতা হয় কেন

অনলাইন ডেস্ক

রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া হলো রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া। বিশ্বজুড়ে বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশে পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে রক্তশূন্যতার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেশি। মূলত প্রতি মাসে ঋতুস্রাব, ল্যাকটেশন বা মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনপ্রক্রিয়া ও গর্ভধারণের কারণে নারীদের রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে, ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ৩০ শতাংশ এবং ৩৭ শতাংশ গর্ভবতী নারীর রক্তশূন্যতা থাকে।

রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরির কাঁচামাল আয়রন কমে গেলে আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতা হতে পারে। এ ছাড়া ভিটামিন বি ও ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি, দীর্ঘমেয়াদি রোগ, ক্যানসার, অস্থিমজ্জার সমস্যা, থাইরয়েডের সমস্যা, সময়ের আগে রক্তকণিকা ভেঙে যাওয়া বা থ্যালাসেমিয়া ইত্যাদি নানা কারণে রক্তশূন্যতা হয়ে থাকে।

নারীদের রক্তশূন্যতার অন্যতম প্রধান কারণ শরীরে আয়রনের অভাব। প্রতিমাসেই ঋতুস্রাবের ফলে ৩০ থেকে ৮০ মিলিলিটার রক্ত বেরিয়ে যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে এর মাত্রা অনেক বেশি হয়, আবার স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলে। ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় আয়রনের চাহিদা বেড়ে যায়।

যদি এই অতিরিক্ত পুষ্টির চাহিদা পূরণ না হয়, তাহলে মা ও শিশু দুজনের জন্যই স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। এ ছাড়া অপুষ্টি, কৃমি সংক্রমণ, দীর্ঘ মেয়াদে ব্যথার ওষুধ সেবনে পাকস্থলীতে ক্ষত, জরায়ুর টিউমার, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পায়খানার সঙ্গে রক্তক্ষরণ, পাইলসসহ নানা কারণে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি হয় এবং তা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে খাওয়া উচিত। ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায় সবুজ ও রঙিন শাকসবজিতে। আমাদের দেশের অনেক নারী জানেন না যে তাঁদের মৃদু ধরনের জিনগত রক্তরোগ যেমন থ্যালাসেমিয়া বা হিমোগ্লোবিন ই ট্রেইট আছে কি না। তাঁদের জীবনভর হিমোগ্লোবিন একটু কম থাকে। হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস নামে পরীক্ষা করলে তা শনাক্ত করা যায়।

অতিরিক্ত দুর্বলতা ও ক্লান্তিবোধ, ত্বক ও ঠোঁট ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠা, মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা বা শ্বাসকষ্ট হওয়া ইত্যাদি রক্তশূন্যতার লক্ষণ।

প্রতিরোধ

রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত হলে প্রথমে জানতে হবে এটি কতটা তীব্র। সে অনুযায়ী চিকিৎসা। এরপর নেপথ্য কারণ খুঁজে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

রক্তশূন্যতা এড়াতে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কচু ও কচুশাক, পালংশাক, কলিজা, কাঁচা কলা ও খেজুরে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে। তবে অনেক সময় খাবারের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ না হলে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্লাড ট্রান্সফিউশন বা রক্ত সঞ্চালন করাও লাগতে পারে।

গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতি এড়াতে সুষম খাবারের পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে ষাটোর্ধ্ব নারীদের রক্তশূন্যতার সঙ্গে খাবারে

অরুচি, ক্রমে ওজন কমে যেতে থাকলে তা অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে, দ্রুত পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে হবে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ