সর্বশেষ
টঙ্গীতে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিক বিক্ষোভ
দক্ষিণী সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তা পেলেও পরবর্তীতে বলিউডে দর্শকপ্রিয়তা পান এই অভিনেতা
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ গেল দুই বাংলাদেশির
‘অভ্যুত্থানের আগে রাজউকের অভিযানে বাধা আসতো’
রণবীর-সাই পল্লবীর ‘রামায়ণ’ নিয়ে আসছে বড় ঘোষণা
কবে কমবে গরম, যে বার্তা দিলো আবহাওয়া অফিস
রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল বিভাগে রিভিউ শুনানি শুরু
শর্ত লঙ্ঘন, ফের ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গোলাগুলি
নির্বাচন দেরি করলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে
নির্বাচন নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে
ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি চাইলেন সারজিস আলম
ভারত ও পাকিস্তান ব্যয়বহুল যুদ্ধের সামর্থ্য রাখে না
হাসিনার অন্যায় আদেশ না মানা বশির, মনিরুজ্জামান ও জিল্লুরের নাম নেই
আত্মহত্যার আগে কী বলে গিয়েছিল লামিয়া, জানালেন শ্রাবন্তী
শখের বশে গায়িকা হয়েছেন যেসব তারকা

আপনার ত্বক কি শুষ্ক না পানিশূন্য, হাইড্রেটিং না কি ময়েশ্চারাইজিং ত্বকের যত্নে কোনটা প্রয়োজন জেনে নিন

অনলাইন ডেস্ক

সংক্ষেপে বললে, হাইড্রেটিং মানে ত্বকে পানি যোগ করা, আর ময়েশ্চারাইজিং মানে সেই পানিটা ধরে রাখা। ত্বককে মসৃণ, টানটান ও স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য এই দুই ধরনের যত্নই জরুরি।

ত্বকে রুক্ষতা, খসখসে বা টানটান ভাব- ত্বকের খুব সাধারণ সমস্যা এগুলো। কিন্তু এর প্রতিকারই বা  কী। ত্বককে হাইড্রেট, না কি ময়েশ্চারাইজ করা। এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা না থাকলে ত্বকের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। যদিও এই দুটি শব্দ প্রায়ই একই অর্থে ব্যবহৃত হয়, আসলে এদের কার্যকারিতা ভিন্ন। ত্বকের সঠিক যত্নে হাইড্রেটিং ও ময়েশ্চারাইজিং-এর মধ্যে পার্থক্য জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

হাইড্রেটিং বনাম ময়েশ্চারাইজিং: মূল পার্থক্য

সংক্ষেপে বললে, হাইড্রেটিং মানে ত্বকে পানি যোগ করা, আর ময়েশ্চারাইজিং মানে সেই পানিটা ধরে রাখা। ত্বককে মসৃণ, টানটান ও স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য এই দুই ধরনের যত্নই জরুরি।

ত্বক হাইড্রেট করা মানে কী?

হাইড্রেটিং বলতে বোঝায় ত্বকে পানি বা আর্দ্রতা যোগ করা। ত্বক প্রায় ৬৪% পানি ধারণ করে, কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তন বা ভুল স্কিনকেয়ার ব্যবহারে সেই পানি হারিয়ে যেতে পারে। ত্বক যদি ঠিকভাবে হাইড্রেট না থাকে, তাহলে দেখতে নিষ্প্রাণ ও রুক্ষ লাগে এবং বলিরেখাগুলো আরও চোখে পড়ে।

উপকারী উপাদান: হায়ালুরনিক অ্যাসিড (Hyaluronic Acid), গ্লিসারিন ইত্যাদি।

ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা মানে কী?

ময়েশ্চারাইজিং হলো ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার প্রক্রিয়া। এতে ত্বকের ওপরের স্তরে একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি হয় যা পানির অপচয় রোধ করে এবং বাইরের ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা করে।

উপকারী উপাদান: সেরামাইড, তেল, শিয়া বাটার, স্কুয়ালিন ইত্যাদি।

কখন বুঝবেন হাইড্রেটিং দরকার, আর কখন ময়েশ্চারাইজিং?

  • ডিহাইড্রেটেড (জলশূন্য) ত্বক: দেখতে নিস্তেজ, টানটান, অনেক সময় খসখসে বা ফ্ল্যাকি লাগে। সব ধরনের ত্বকই ডিহাইড্রেট হতে পারে। এমনকি তৈলাক্ত ত্বকও।
  • ড্রাই (শুষ্ক) ত্বক: প্রাকৃতিক তেলের ঘাটতি থাকে। ত্বক সবসময়ই রুক্ষ ও খসখসে থাকে। কখনো কখনো চুলকায় বা সংবেদনশীল হয়।

ত্বক হাইড্রেট করার উপায়

  • হায়ালুরনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ সিরাম ব্যবহার করুন ।
  • সিরাম ব্যবহারের পর হালকা ময়েশ্চারাইজার দিন যাতে পানি আটকে থাকে।
  • প্রচুর পানি পান করুন এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন।

ত্বক ময়েশ্চারাইজ করার উপায়

  • ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন—শুষ্ক ত্বকের জন্য অয়েল-বেসড, সংবেদনশীল ত্বকের জন্য জেন্টল ফর্মুলা।
  • ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হলে ‘স্লাগিং’ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে যে কোন হিলিং অয়েন্টমেন্ট দিয়ে ঘুমানোর আগে একটি স্তর তৈরি করুন।

বাড়তি সতর্কতা:

  • খুব গরম পানিতে গোসল না করে হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।
  • ক্লিনজারের পরিবর্তে হাইড্রেটিং ফেইসওয়াশ ব্যবহার করুন।
  • গোসল বা মুখ ধোয়ার পরপরই ময়েশ্চারাইজার লাগান।

ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে শুধু হাইড্রেট করলেই চলবে না, ময়েশ্চারাইজ করাও জরুরি। দুইটার সমন্বয়ই ত্বককে দেবে উজ্জ্বলতা, কোমলতা আর সতেজ অনুভূতি। সবচেয়ে বড় বিষয় নিজের ত্বকে চিনতে, জানতে ও বুঝতে হবে। এবং সে অনুযায়ী উপযুক্ত যত্ন নিতে হবে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ