জম্মু কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া নতুন উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেও। বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও জেলার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় বাড়তি টহল, নজরদারি ও জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। অপরদিকে, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীও (বিএসএফ) সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে।
সীমান্তবর্তী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের স্কুলের হাট গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিজিবির সদস্যরা আমাদের বলে দিয়েছেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে যেন আমরা সীমান্তের শূন্য রেখা বা তার কাছাকাছি এলাকায় না যাই। কোনো অচেনা ব্যক্তির চলাচল দেখলে তাদেরকে দ্রুত জানায়।’
একই উপজেলার কোর্টপাড়া গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবির টহল অনেক বেড়েছে। প্রতিদিন রাতে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। এতে কিছুটা হলেও মনোবল পাচ্ছি। তবে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।’
হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়াগ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হক বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের এই উত্তেজনায় আমরা সীমান্তবাসীরাও উদ্বিগ্ন। সন্ধ্যার পর সবাই নিজ নিজ বাড়িতে থাকার চেষ্টা করছি। বিজিবি আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে বলছে।’
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজীর আহম্মদ বলেন, ‘সীমান্তবর্তী জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। মসজিদভিত্তিক প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি সীমান্তে পতাকা বৈঠক ও সমন্বিত টহলও বাড়ানো হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়তি নজরদারি নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: যুগান্তর