২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে চারবার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে, তিনটি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে।
সেই সময় ৬ থেকে ৮ দল নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করত ফিফা। সাধারণত স্বাগতিক দেশের ক্লাব ও মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে বসত এই বৈশ্বিক আসর। রোনালদোর দল প্রতিবারই উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতে ইউরোপ মহাদেশের সেরা হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে।
এ বছর থেকে বৃহৎ পরিসরে ক্লাব বিশ্বকাপ হতে চলেছে। আগামী ১৪ জুন থেকে ১৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ১১ শহরের ১২ ভেন্যুতে হবে এই টুর্নামেন্ট। খেলবে ৬ মহাদেশের ৩২টি ক্লাব।
পরিধি বাড়ায় প্রায় সব মহাদেশ থেকে আরও বেশি দল এখন থেকে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। লিওনেল মেসির দল ইন্টার মায়ামিও স্বাগতিক দেশের ক্লাব হিসেবে বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছে।
কিন্তু রোনালদো এবার হতভাগাদের তালিকায়। তাঁর দল আল নাসর যে ২০২৫ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি!
সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরকে এশিয়া মহাদেশের বাছাইপ্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে হতো। এই মহাদেশ থেকে চারটি ক্লাব সুযোগ পেয়েছে—সৌদি প্রো লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও ২০২১ এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী আল হিলাল, ২০২২ এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী জাপানি ক্লাব উরাওয়া রেড ডায়ামন্ডস, ২০২৩–২৪ এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইন এবং সর্বশেষ চার বছরে এএফসির সম্মিলিত র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ান ক্লাব উলসান হুন্দাই।
২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপের ৩২ দল বেছে নিতে ফিফা যে মানদণ্ড তৈরি করেছে, সেখানে ক্লাবগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হয় ঘরোয়া লিগ শিরোপা জিতেছে, নয়তো মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
রোনালদোর আল নাসর গত পাঁচ বছরেও সৌদি প্রো লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ তো কখনোই জেতেনি। এমনকি এএফসি ক্লাব র্যাঙ্কিংয়েরও শীর্ষে নেই। এর ফলে ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
ফিফার এসব মানদণ্ডে মেসির ইন্টার মায়ামিও নেই। শুধু স্বাগতিক দেশের ক্লাব হওয়ার সুবাদেই মায়ামি প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাচ্ছে।