যদি আপনার ওজন বেশি হয়, তবেই মুশকিল। কারণ শরীরের পেছনে পড়ে যেতে পারে ডায়াবেটিস, হাইপ্রেশার ও কোলেস্টেরল থেকে শুরু করে একাধিক জটিল রোগ।। তাই যত দ্রুত সম্ভব আপনার ওজন কমানোর কাজে লেগে পড়ুন। আর সেই কাজে সাফল্য পেতে চাইলে সবার আগে তেল ও মসলাসমৃদ্ধ খাবার ছেড়ে দিতে হবে। এর বদলে ভরসা রাখতে হবে আমাদের অতিপরিচিত খাবারে। তাতে লিভার থেকে মুক্তি পাবেন হাতেনাতে।
আপনার শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে প্রোটিন। যেমন ধরুন– হরমোন তৈরি, পেশি গঠন, হাড়কে শক্ত করা, দেহের একাধিক বিপাকীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি। তাই শরীরে এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি থাকলে চলবে না।
মূলত লিভারের প্রদাহ থেকেই হেপাটাইটিস ও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। লিভারের যত্ন নিতে সে জন্য খাদ্যতালিকায় বদল আনতে হবে। মুখে ব্রণ হচ্ছে। ভালোমতো পেট পরিষ্কার হচ্ছে না। কোলেস্টেরল বেড়েই চলেছে। বাড়ছে ওজনও।— এসব সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে আপনার লিভারে।
সেই সঙ্গে যকৃতের স্বাস্থ্য যদি ভালো না থাকে, শরীরে নানা সমস্যা লেগেই থাকবে। লিভারকে ডিটক্সিফাই করা ভীষণ জরুরি। লিভারের প্রদাহ থেকেই হেপাটাইটিস ও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। এবার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে— লিভারকে ডিটক্সিফাই করব কীভাবে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সাধারণত কিছু খাবার রাখলেই লিভারে প্রদাহ তৈরি হবে না।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ডিটক্সিফাই করব লিভারকে—
সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক মাছ প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরি। এটি যদি আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন, তবে তো কোনো কথাই নেই। মাছের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। আর নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খেলে দেহে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও মিলবে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
সবুজ শাক: পালংশাক হোক কিংবা পুঁই, কুমড়া, লাউ— যে কোনো শাকই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে পালংশাক ভীষণ পুষ্টিকর খাবার। তা ছাড়া পুঁই, কুমড়া ও লাউওপুষ্টিতে ভরপুর। আর এসব খাবার লিভারকে ক্ষয়ের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। পাশাপাশি পেট পরিষ্কারে সাহায্য করে এবং শারীরিক প্রদাহ কমায়।
অলিভ অয়েল: রান্নায় কোনে তেল ব্যবহার করছেন, তার ওপর নজর দেওয়া জরুরি। যদি অলিভ অয়েল হয়, তবে তো কোথাই নেই। কারণ অলিভ অয়েলের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি লিভারের প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতেও সাহায্য করে। আপনি যদি রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করে থাকেন, তবে অনেক রোগের হাত থেকেও সুরক্ষিত থাকবেন।
হলুদ: রান্নাঘরে হলুদ পাওয়া যাবে না, তা হয় না। আর বাঙালির রান্নায় হলুদ থাকবেই। এ মসলায় থাকা কারকিউমিন যৌগ দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি যেমন দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে, তেমনই লিভারকে ক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচায়। তাই এ মসলা ডায়েটে রাখতেই হবে।
রসুন: রসুনের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা লিভারের ফ্যাট ও প্রদাহ দূর করতে উপকারী। কাঁচা রসুন খেতে অনেকেরই ভালো লাগে না। সে ক্ষেত্রে রান্নায় অবশ্যই রসুন ব্যবহার করুন। এতে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।