সর্বশেষ
রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ আগামীকাল
মাহিয়া মাহির ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল
সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে জড়িয়ে ৬ ভুল তথ্য
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির শপথ গ্রহণ
আ.লীগের বিচার ও সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন হবে না
আ. লীগের নিবন্ধন বাতিল করে সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে: নাহিদ
পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খাদ্য মজুতের নির্দেশ
মোহাম্মদপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৮
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ নিয়ে কাজ করা নারীদের স্বীকৃতি দিতে হবে: উপদেষ্টা
রাখাইনে শতশত বস্তা ইউরিয়া সার পাচার করছিল চক্রটি
এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পেতে বিলম্ব হলে বাংলাদেশ বিমানেই ফিরবেন বেগম খালেদা জিয়া
স্বামীকে রেখে দেবরের সঙ্গে পালালেন স্ত্রী, অতঃপর…
বৃষ্টির মধ্যেই তাপমাত্রা নিয়ে দুঃসংবাদ
সরকারি ব্যাংকে ষষ্ঠ-নবম-দশম গ্রেডে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
এশিয়া আসছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা, জেনে নিন কখন কার সঙ্গে খেলা

ফের বেড়েছে মুরগির দাম, অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

অনলাইন ডেস্ক

শীতকালীন সবজির মৌসুম শেষ হতেই অস্থির হয়ে উঠেছে কাঁচাবাজার। চাহিদা অনুযায়ী গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ না থাকায় প্রায় প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে দাম। এরই মধ্যে অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে মুরগির বাজার।

শুক্রবার (২ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, খিলক্ষেত বাজার, নয়াবাজার ও যাত্রাবাড়ীসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের সবজি। হাতে গোনা দুই-একটি ছাড়া বেশিরভাগ সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার ওপরে। ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রীষ্মকালীন সবজি না আসায় দাম বেড়েছে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা রসুল বলেন, বাজারে সবে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। এখনো পুরোদমে আসা শুরু করেনি। তাই কয়েকটি সবজির দাম চড়া। সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম এমনিতেই কমে যাবে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি করলা ৬০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, কহি বা চিচিংগা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা ও টমেটো ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৭০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পটোল ৫০-৬০ টাকা ও সজনে ডাটা ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে প্রতি পিস চালকুমড়া ৪০ টাকা ও লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা।

খিলক্ষেতের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, প্রতিবছর এই সময়ে দাম বাড়ে পেঁপের। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।

ফিরোজ নামে এক ক্রেতার দাবি, গরমকে পুঁজি করে শাক-সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। যাতে পকেট কাটছে ভোক্তার। মনে হচ্ছে যেন ফের সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে কাঁচা বাজার। সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

জেসমিন নামে এক ক্রেতা বলেন, সব জিনিসের দাম বাড়তি, চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার নেই।

নতুন করে না বাড়লেও আগে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। খুচরা পর্যায়ে মানভেদে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। পাইকারি পর্যায়ে যা কেনাবেচা হচ্ছে ৭০ টাকায়। আর কেজিতে ৫০ টাকার বেশি বেড়ে প্রতি কেজি ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।

বিক্রেতাদের দাবি, এবার মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত কম হলেও গত মাসের শেষদিকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। এতে মরিচ ও ধনেপাতা পচে যাচ্ছে। ফলে দাম কিছুটা বেড়েছে।

এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে মুরগির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে কিছুটা সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা করিম বলেন, বাজারে মুরগির সরবরাহ কম। মূলত খামারিরা কম মুরগি সরবরাহ করায় বাজারে কিছুটা সরবরাহ কমেছে। এতে দাম বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কেজিতে ১০-৩০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৮০ টাকায়। এছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ২০০ টাকায় ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকায়।

আর গত সপ্তাহ থেকে কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০-১৩০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ১৮০-২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পহেলা বৈশাখ থেকে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা রহিম বলেন, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি হালি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে দাম। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে।

তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে আলুর দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর জন্য গুনতে হচ্ছে ২০-২২ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। আর প্রতিকেজি আমদানি করা রসুনের জন্য ১৮০ থেকে ২২০ ও দেশি রসুনে গুনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

আগের দামে বিক্রয় হচ্ছে মাছ। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা, কাতল ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

 

সূত্র: যুগান্তর

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ