বর্তমানে দেশের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে এক জন কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। ইদানীং অনিয়মিত জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, শরীরচর্চার অভাব সহ বিভিন্ন কারণে অল্প বয়সেও শরীরে বাসা বাঁধছে এই রোগ।
কোলেস্টেরলের সঙ্গেই ঝুঁকি বাড়ে হার্টের অসুখেরও। আর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধু ওষুধ নয়, ডায়েটের উপরও নজর দেওয়া জরুরি। রোজ খাদ্যতালিকায় কয়েকটি পানীয় রাখলে উপকার পাবেন।
গরম জলে চিয়া সিডের সঙ্গে লেবুর রসঃ লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং প্রদাহ কমায়। চিয়া সিড ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং দ্রবণীয় ফাইবারের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সকালে গরম জলে লেবুর রস ও চিয়া সিড মিশিয়ে পান করলে কোলেস্টেরলের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
পুদিনা ও আদা দিয়ে গ্রিন টিঃ গ্রিন টি ক্যাটেচিন সমৃদ্ধ, শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা এলডিএল কোলেস্টেরল কমায়। এই চায়ে আদা যোগ করলে এটির গুণাগুণ আরও বেড়ে যায়। অন্যদিকে, পুদিনার একটি সতেজ স্বাদ রয়েছে। যা হজমে সাহায্য করে।
আমলকির রসঃ ভিটামিন সি-তে ভরপুর আমলকি শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, একইসঙ্গে শরীরে প্রদাহ কমায় এবং কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। আমলকি শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রাও বাড়ায়, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। প্রতিদিন আমলকির রস পান করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মেথি ভেজানো জলঃ মেথি বীজে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরলকে অন্ত্রে আটকে যেতে বাধা দেয়। একইসঙ্গে এতে রয়েছে স্যাপোনিনও, যা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। মেথি বীজ সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল পান করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে উপকার পাবেন।
বিট ও গাজরের রসঃ বিট এবং গাজরের রস কোলেস্টেরল কমানোর একটি দারুণ পানীয়। বিটে নাইট্রেট থাকে যা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। বিটা-ক্যারোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ গাজরও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ধনে বীজ ভেজানো জলঃ ধনে বীজ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং প্রয়োজনীয় তেলে ভরপুর, যা বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে। এই বীজ মিশ্রিত জল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমতে সাহায্য করে।
পুদিনা পাতা দিয়ে শসার রসঃ শসার রস শরীরে জলশূন্যতা কমায়। এটির ক্যালোরি কম বলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, সঙ্গে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও অত্যন্ত কার্যকরী। এতে পুদিনা পাতা যোগ করলে হজমশক্তি বাড়ে এবং শরীর থাকে টক্সিনমুক্ত।