সর্বশেষ
পামওয়েল কারখানায় বিস্ফোরণ, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ দগ্ধ চার
চাকরি দিচ্ছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, বেতন আকর্ষণীয়
ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির কাতল, অর্ধ লাখে বিক্রি
ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান, রাষ্ট্রগঠনের কাজ এখন শুরু: আলী রীয়াজ
আ. লীগে যোগ দেওয়ার আগেই সাকিবকে যে বার্তা দেন মেজর হাফিজ
নেইমারের কাছ থেকে ‘বিশেষ উপহার’ পেলেন পলাশ!
হঠাৎ মাঝপথে থেমে গেল চলন্ত ট্রেন, আতঙ্কিত যাত্রীরা
‘নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি গণঅভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থী’
আ.লীগ নিষিদ্ধসহ ১২ দফা ঘোষণা হেফাজতের
শহিদ জিয়ার শাহাদাত মাস স্মরণে বিএনপির কর্মসূচী
রূপচর্চায় ক্যাস্টর অয়েলের জাদুকরী ব্যবহার
পাক-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েনে এশিয়া কাপ হবে তো?
পহেলগাঁও ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে পাকিস্তান
নিরাপত্তার মামলায় হেরে আবেগঘন বার্তা প্রিন্স হ্যারির
আইফোন ব্যবহারকারীদের সতর্ক করলো অ্যাপল, কেন

শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে সাপ্লিমেন্ট খাওয়া কি জরুরি?

অনলাইন ডেস্ক

রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখা, আর হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা থেকে শুরু করে দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো— শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। আপনার দেহে প্রোটিনের অভাব তৈরি হলে নানারকম রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকবে। কিন্তু শরীরে ঠিক কতটা পরিমাণ আপনার প্রোটিন প্রয়োজন জানেন কি?

সাধারণত যাদের সেডেন্টারি লাইফস্টাইল; মূলত যারা শরীরচর্চা করেন না, তাদের ওজনের প্রতি কেজিতে ০.৮ থেকে ১ গ্রাম প্রোটিন খেতে হবে। আবার যাদের মডারেট লাইফস্টাইল; যারা হালকা ওয়ার্কআউট করেন, তাদের দরকার ১ থেকে ১.৪ গ্রাম  প্রোটিন। আর যারা রোজ এক্সারসাইজ করেন, ভারি ব্যায়াম করেন, তাদের ১.৬ গ্রাম (প্রতি কেজিতে) প্রোটিন দরকার হয়। যারা খেলোয়াড়; মূলত মাঠে ঘাম ঝরান, তাদের ক্ষেত্রেও প্রোটিন পরিমাপ প্রতি কেজিতে ১.৬ গ্রাম। কিন্তু যেসব ব্যক্তি ভারোত্তোলন করেন, তাদের দরকার প্রতি কেজিতে ১.৫ থেকে ২.২ গ্রাম প্রোটিন।

কিন্তু এই পরিমাপ মেপে কি প্রোটিন গ্রহণ করা সম্ভব? এর উত্তরে পুষ্টিবিদরা সাফ জানিয়েছেন—না । তবে প্রতিদিন সাধারণ খাবারেই প্রোটিনের ঘাটতি মিটতে পারে।

২০২৪ সালের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের নির্দেশিকা অনুযায়ী, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের ওজন অনুযায়ী প্রতি কেজিতে ০.৮ থেকে ১ গ্রাম প্রোটিন দরকার। কিন্তু ঘটনাচক্রে কেউ এই মাত্রার বেশি প্রোটিন গ্রহণ করেন, আবার কেউ কম গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে ডায়াটিশিয়ান মঞ্জিরা সান্ন্যাল বলেন, কার দেহে কতটা পরিমাণ প্রোটিন দরকার, তা নির্ভর করে চারটি বিষয়ের ওপর। সেগুলো— বয়স, সেক্স, ওজন ও অ্যাক্টিভিটি। তিনি বলেন, আসলে প্রত্যেক ব্যক্তির শারীরিক গঠন, ওজন ও লাইফস্টাইল আলাদা হয়। সুতরাং গাইডলাইন্স মেনে ডায়েট চার্টে প্রোটিন লিখে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মঞ্জিরা।

আরেক ডায়াটিশিয়ান শ্রেয়সী ভৌমিক বলেন, সারা দিনের খাবারের মধ্যে প্রোটিন ভাগ করে দেওয়া হয়। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের দেহে যদি দৈনিক ৪৫ গ্রাম প্রোটিন দরকার হয়, তার কিছুটা ব্রেকফাস্টে, কিছুটা লাঞ্চ, স্ন্যাকসে ও ডিনারে ভাগ করে দেওয়া হয়। মাছ, মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের ডাল, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যেই দৈনিক প্রোটিনের ঘাটতি মিটে যায় বলে জানিয়েছেন শ্রেয়সী।

মঞ্জিরা ও শ্রেয়সীর বক্তব্য অনুযায়ী, সাধারণ ডাল, মাছ-মাংস খাওয়াই যথেষ্ট। কিন্তু চিন্তার কারণও রয়েছে। আজকাল বেশিরভাগ খাবারেই ভেজাল মেশানো থাকে। তাই অনেকেই প্রোটিন সাপ্লিমেন্টের সাহায্য নেন।

সাবেক বিসিসিআই ফিটনেস কোচ চিন্ময় রায় বলেন, ‘যারা ভারোত্তোলন করেন, অলিম্পিক্সের খেলেন, সেসব খেলোয়াড়ের প্রোটিন সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন পড়ে। সাধারণ খাবার দিয়ে প্রোটিনের ঘাটতি মেটানো যায় না। তবে খেলোয়াড়দের জন্য ডায়াটিশিয়ান, প্রশিক্ষক থাকেন এবং তাদের জীবনধারা নিয়মে বাঁধা থাকে।

ডাক্তার বা ডায়াটিশিয়ানের পরামর্শ ছাড়া প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খেলে বিপদের শেষ নেই। শ্রেয়সী বলেন, ‘আজকাল বাজারে যেসব প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায়, তাতে যত বেশি প্রোটিন থাকে, তার থেকে বেশি শর্করা রয়েছে। সুতরাং প্রোটিন শেক, প্রোটিন বারের মতো খাবার খেলে সুগার লেভেল বাড়তে পারে। শুধু তা-ই নয়, অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খেলে কিডনির ওপর চাপ পড়ে। আবার দেহে প্রোটিনের মাত্রা বাড়লে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বেড়ে যায়। এমন একাধিক ক্ষতিকর দিক রয়েছে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার।

চিন্ময়ের বক্তব্য— পুষ্টিবিদ ও প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া সাধারণ মানুষের প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার দরকার নেই।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ