মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত যখন এটি কোনও জায়গা থেকে বেরিয়ে আসে, তখন সেটা বিপদের সংকেত। এই অবস্থাকে কখনও কখনও রেক্টাল রক্তপাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি কোলোরেক্টাল ক্যান্সারসহ অনেক স্বাস্থ্য অবস্থার উপসর্গের কারণেও হতে পারে।
পায়ুপথে রক্ত গেলে অনেক রোগী হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অনেক সময় রক্ত পড়ার পর শুধু সময়ক্ষেপণ ও অবহেলার জন্য এটি ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের কারণ হতে পারে বলছেন চিকিৎসকরা।
পাইলস হলেও মলদ্বার দিয়ে রক্ত আসতে পারে। শুরুতে মলের সঙ্গে রক্ত ফোঁটায় ফোঁটায় পড়তে পারে। কিছুদিন পর মলদ্বার দিয়ে মাংসপিণ্ডের মতো বের হতে পারে এবং মলদ্বারে জ্বালাপোড়াও হতে পারে।
আবার পায়ুপথে এনাল ফিসার হলে মলদ্বার ফেটে যায় এবং এক্ষেত্রে সেখান থেকে রক্ত আসতে পারে। এই সমস্যায় রক্ত পড়া ছাড়াও মলত্যাগের সময় ও পরে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হতে পারে।
রেক্টাল পলিপ হলেও পায়খানার রাস্তা দিয়ে টাটকা বা তাজা রক্ত যায়। মলদ্বারে গোটার মতো দেখা যেতে পারে।
রেক্টাম ক্যানসার মলদ্বারে রক্ত যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই রোগটিকে অনেকে শুরুতে পাইলস মনে করে অবহেলা করেন।
এ রোগের প্রতিরোধের বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, পায়ুপথে রক্তপাত হলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিক কারণ নির্ণয় করার পর শুরু হবে চিকিৎসা। তবে রোগীর রক্তক্ষরণ অনেক বেশি হলে আগে রক্ত দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। পাইলস, এনাল ফিসার ইত্যাদি রোগ এখন ওষুধ ও জীবনাচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।