দিন দিন প্রাকৃতিক এবং রাসায়নিকমুক্ত পণ্যের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। আর এ জন্য রূপচর্চায় পুনরুত্থান ঘটেছে বহুকাল আগে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত ক্যাস্টর অয়েলের। ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে প্রসাধনীতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই তেল। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে এর বহুমুখী সুবিধা বেশ প্রশংসিত।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ক্যাস্টর অয়েলের সুবিধাগুলো কী কী-
১.পুষ্টি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ ক্যাস্টর অয়েল চুলকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর করে। মাথার চুলে, দাড়িতে, চোখের পাপড়িতে বা ভ্রুতে-যেখানেই ব্যবহার করা হোক না কেন, এটি চুলের ঘনত্ব বাড়াতে এবং ভাঙা রোধ করতে সহায়তা করে। অনেক সৌন্দর্যপ্রেমীরা দীর্ঘ পাপড়ির জন্য তাদের আইলাইনার বা মাসকারায় কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল যোগ করে থাকেন।
২. শুষ্ক বা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য, ক্যাস্টর অয়েল গভীর ময়েশ্চারাইজেশন দেয়। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যৌগগুলি ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া এটি ব্রণ, ব্রণের দাগ এবং লালভাব কমাতেও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।
৩. তেলটি সূক্ষ্ম রেখা, বলিরেখা এবং কালো দাগও কমাতে পারে। এটি প্রাকৃতিক মেকআপ রিমুভার, ফেসিয়াল ম্যাসাজ তেল হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, অথবা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে অন্যান্য জৈব উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ক্যাস্টর অয়েল এখন আর কেবল অতীতের স্মৃতি নয়, আধুনিক সৌন্দর্য শিল্পের একটি স্তম্ভ হয়ে উঠছে। যারা রাসায়নিকযুক্ত কসমেটিক্স এড়িয়ে চলতে এবং ব্যক্তিগত যত্নের জন্য প্রাকৃতিক সামগ্রী ব্যবহার করতে চান,তাদের জন্য দৈনন্দিন রুটিনে ক্যাস্টর অয়েল যোগ করা সবচেয়ে কার্যকর সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে।
তথ্যসূত্র: সামাটিভি