বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) সাথে বৈঠক করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৈঠক শেষে কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের একটি পর্যায়ের অবসান ঘটেছে। ফ্যাসিবাদী শাসক পলায়ন করেছে, কিন্তু রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়া সূচনা হচ্ছে মাত্র। সেই সূচনার কাজটি দ্রুততার সঙ্গে শুরু করা ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য।
শনিবার (৩ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, সকলে একমত হয়ে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, যার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রাথমিক পর্যায়ের সংগ্রামে বিজয় হয়েছে। সেটা যেন ধরে রাখতে পারি, অগ্রসর হতে পারি। সেক্ষেত্রে ভিন্নমত থাকবে। গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রগঠনের দিক থেকে আমরা যেনো এক কাতারে থাকতে পারি। পরস্পরের সহযোদ্ধা হতে পারি। এ সহযোগিতার মধ্য দিয়ে জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারবো, যে সনদ নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রথম পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হবে।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটা ফ্যাসিবাদী সরকারের অবসান ঘটেছে। এই অভ্যুত্থানের মূল আকাঙ্ক্ষার নির্যাস হচ্ছে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা যাতে আর কোনোভাবে ফিরে আসতে না পারে। আমরা একটা কথা আমাদের দলের পক্ষ থেকে বারবার বলি- ফ্যাসিবাদ কোনো দল আনে না, ফ্যাসিবাদ আনে একটা ব্যবস্থা। একটা সিস্টেমের মধ্য যে যে উপাদান থাকলে ফ্যাসিবাদ আসে, সে সিস্টেম যদি বহাল থাকে তাহলে হয়তো চেহারা পাল্টাবে কিন্তু ব্যবস্থা পাল্টাবে না।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ করতে চাই….। কোনো কমিশনের প্রস্তাবনায় খারিজ করতে চাই না। ঠিক বেঠিক নিয়ে আলোচনা করবো। মত দ্বিমত থাকতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করবো। বেশ কিছু প্রস্তাবনা বাতিল করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যা অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।