কনুই ও হাঁটুতে কালচে দাগ নিয়ে অস্বস্তিতে আছেন। শরীরের বাকি অংশের তুলনায় এই অংশে বেশি মেলানিনের ফলে বা সূর্যের তাপ, ঘর্ষণ ইত্যাদির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব স্থানের হাইপারপিগমেন্টেশনগুলো চোখে পড়ে বেশি, যা বেশ দৃষ্টিকটু।
ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে এর সমাধান করতে পারেন—
দুই টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে লেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি হাঁটু ও কনুইয়ে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস ত্বকের স্বাভাবিক রঙ নিয়ে আসতে সাহায্য করবে ও বেসন ত্বকের মরা চামড়া দূর করবে।
এক চামচ হলুদের সঙ্গে দই ও মধু মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করুন। এরপর কনুই ও হাঁটুতে এ পেস্ট ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
নারকেল তেলের সঙ্গে এক চিমটি কর্পূর গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি হাঁটু ও কনুইয়ে ত্বকে লাগান প্রতিদিন। ধীরে ধীরে কালচে দাগ কমে যাবে।
পরিমাণ মতো বেকিং সোডা পানিতে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। হাঁটু ও কনুইয়ের ত্বকে পেস্ট লাগিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুই দিন এটি ব্যবহার করলে কালো দাগ দূর হবে।
অ্যালোভেরার রস সংগ্রহ করুন। কনুই ও হাঁটুতে ১০ মিনিট ঘষে ঘষে লাগান এ রস। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে কালচে ভাব কমে যাবে।
প্রাকৃতিক ব্লিচিং বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত লেবু। এটি ত্বককে উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে। লেবুর রস হাঁটু ও কনুইয়ের ওপর ১০ মিনিট ভালো মতো লাগিয়ে ঘষুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সমপরিমাণ চিনি ও অলিভ অয়েল একসঙ্গে মেশান। মিশ্রণটি হাঁটু এবং কনুইয়ে লাগান চক্রাকারে। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
আলু থেঁতো করে হাঁটু অথবা কনুইয়ের ত্বকে লাগান৷ আলুর খোসাও লাগাতে পারেন। সপ্তাহে দুই দিন এভাবে লাগান। এতে কালো দাগ চলে যাবে।