যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করমুক্ত মর্যাদা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার নিজস্ব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা হার্ভার্ডের কর-মুক্ত মর্যাদা বাতিল করতে যাচ্ছি। এটাই তাদের প্রাপ্য!’
ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের এই স্কুলটির বিরুদ্ধে এটি ট্রাম্পের পূর্ববর্তী হুমকির পুনরাবৃত্তি। অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে বিস্তৃত আক্রমণের অংশ হিসেবে এ ধরণের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘এটি মার্কিন কর কোডের অবৈধ ব্যবহার। এটি এক ধরণের অপরাধ। প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট বা হোয়াইট হাউজের কোনো কর্মচারীর পক্ষে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইআরএস তদন্ত বা নিরীক্ষার অনুরোধ করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।’
হার্ভার্ড ইতোমধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। কারণ প্রশাসন গত মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত দুই দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফেডারেল অনুদান স্থগিত করছে। সাধারণত চিকিৎসা ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য ওই অনুদান দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি মনে করেন হার্ভার্ডের করমুক্ত মর্যাদা বাতিল হওয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম ও ধনী বিশ্ববিদ্যালয় হাভার্ড বলেছে, করমুক্ত মর্যাদা বাতিল করা অবৈধ এবং নজিরবিহীন হবে। এ মন্তব্য মুক্ত চিন্তার পক্ষে কথা বলা বিভিন্ন গোষ্ঠী ও অন্যান্য অলাভজনক সংস্থারাও সুর মিলিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বস্টন অঞ্চলের এ বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, হার্ভার্ডের করমুক্ত মর্যাদা বাতিল করার কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এ আইনের অবৈধ ব্যবহার বৃহত্তর পরিসরে উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যতের জন্য গভীর ফলাফল ডেকে আনবে।
হার্ভার্ডসহ অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ফেডারেল আয়কর থেকে অব্যাহতি পায়। কারণ তারা জনসাধারণের শিক্ষার উদ্দেশ্যে পরিচালিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হয়। এ করমুক্ত সুবিধা ব্যক্তি দাতাদের কর-ছাড় সুবিধা দিয়ে দান করতে উৎসাহিত করে। ধনী সাবেক শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পাওয়া দান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎস।
সূত্র: যুগান্তর