আপনার লম্বা চুল নিয়ে নাজেহাল অবস্থা। অফিসে যাওয়ার আগে হাতে সময় থাকে খুব কম। সময়ের অভাবে ঠিকমতো চুলের সাজসজ্জা করা হয় না। কিন্তু আপনি জানেন কি, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার চুলের সাজসজ্জা পরিবর্তন আনতে পারেন? সে রকম কয়েকটি উপায়ে কেশসজ্জার সন্ধান দেওয়া হলো আপনাকে।
উঁচু পনিটেল
সবচেয়ে সুবিধাজনক চুলের স্টাইল হচ্ছে উঁচু পনিটেল। পরিচ্ছন্ন ও টিপটপ দেখানোর পাশাপাশি অফিসের সাজের সঙ্গে মানিয়ে নেয় এই কেশসজ্জা। মুখের সামনে চুলের উৎপাত থাকে না। কাজের সময়ে বারবার বিরক্ত হবেন না। উপরন্তু আত্মবিশ্বাসের ছাপ আসবে চোখেমুখে।
উঁচু খোঁপা
আপনার চুল টানটান করে বেঁধে মাথার ওপরের দিকে খোঁপা করে নিন। এরপর অল্প চুলের গোছা বার করে সামনে ফেলে রাখুন লকস হিসাবে। ফ্যাশনের জগতে এ ধরনের হেয়ারস্টাইল খুবই জনপ্রিয়। একই সঙ্গে ঘাড়ে চুল পড়ে না। তবে সামনের চুলগুলো এমনভাবেই বার করে রাখুন, যাতে হালকা করে কানের পাশে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়। তাতে মুখে চুল পড়ার সম্ভাবনা থাকে না।
হাতখোঁপা
হাতখোঁপায় আপনার প্রয়োজন পড়বে না ক্লিপের কিংবা ব্যান্ডের। হাতের কারসাজিতে চোখের পলকে গোটা চুল আটকে যায় মাথার পেছনে। বাঙালি কেশসজ্জার গর্ব হাতখোঁপা। অফিস যাওয়ার সময়ে হাতের কাছে সরঞ্জাম না পেলে স্রেফ হাতখোঁপা করেই বেরিয়ে পড়তে পারেন আপনি।
ঢেউ খেলানো খোলা চুল
সবচেয়ে আকর্ষণীয় কেশসজ্জা হচ্ছে— ঢেউ খেলানো খোলা চুল। এ চুলের উপদ্রবে বিরক্ত না হলে চুল নিয়ে চিন্তাই করতে হবে না আপনাকে। মাঝে সিঁথি করে দুই পাশে চুল ছেড়ে দিন। বাড়িতে কার্লার থাকলে এবং হাতে সময় থাকলে দুদিকে নিচের অংশটুকু কার্ল করে নিন। এ ধরনের চুলের কায়দা অফিস কিংবা পার্টি— সব জায়গাতেই মানানসই।
সোজা টিপটপ চুল
খুবই সাধারণ একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন আপনি, তা হচ্ছে— সোজ টিপটপ চুল। এ চুল স্ট্রেট করানো থাকলে, মাঝেমধ্যে খোলা চুলে অফিসে যান। টিপটপ সাজের জন্য স্ট্রেট চুল উপযুক্ত। সম্ভব হলে মাথার সামনের অংশে ল্যাকার লাগিয়ে যেতে পারেন। তাতে মাথার সঙ্গে লেগে থাকে চুল। বিনোদন জগতের তারকাদের নতুন পছন্দের মধ্যে রয়েছে এ হেয়ারস্টাইল।
হাফ-নট আর খোলা চুল
আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে— হাফ-নট আর খোলা চুল। খানিক টানটান, আবার খানিক আলগা। মাথার সামনে থেকে সব চুল এবং পেছনের অর্ধেক চুল নিয়ে খোঁপা করে নিন। মাথার পেছনের নিচের অংশের চুলগুলোকে খুলে রাখুন। অফিসের সাজেও মাঝেমধ্যে ক্যাজুয়াল লুক ভালো লাগে। কেবল একটি হেয়ার ব্যান্ড কিংবা স্ক্রানচি থাকলেই এ হেয়ারস্টাইল বানিয়ে ফেলা যায়।
বিনুনি
এবার সবচেয়ে আকর্ষণীয় পদ্ধতি জেনে রাখুন। অফিসে কিংবা পার্টিতে নয়— এবার চুল বাঁধুন রাতে ঘুমানোর আগে বিনুনি করে। রাতে ঘুমানোর সময়ে বেণি বাঁধার অভ্যাস গড়ে তুলন। এর মানে এই নয় যে, সাজের জগতে বেণির কোনো মূল্য নেই। সামনের খানিক অংশ ছেড়ে রেখে আলগা বাঁধনে বিনুনি করে নিন। শেষে সামনের অংশ দিয়ে দুদিকে দুটি বেণি করে কানের দুই পাশে আটকে দিন। এরপর রাতে ঘুমিয়ে পড়ুন।