রাজধানীর গুলশানের ৮০ নম্বর সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজায়’ কদিন ধরে চলছে গোছগাছ; বাড়ির সামনের সবুজ আঙিনা সাজানো হয়েছে ফুল গাছের টব দিয়ে। ভেতরেও কক্ষগুলোতে ঝাড়পোঁছ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করে আনা হয়েছে। খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবরে রাজধানীর গুলশানে তার বাসভবন ‘ফিরোজার’ সামনে সকাল থেকেই জড়ো হতে শুরু করেছেন দলের নেতাকর্মীরা।
যদিও এখনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তার ঢাকায় অবতরণ হয়নি, তবুও আবেগে-উৎসবে মেতে উঠেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ মিলিয়ে সেখানে গড়ে উঠেছে নিরাপত্তার কড়া বলয়।
দলীয় পতাকা হাতে নেতাকর্মীদের অনেকে জোর গলায় বলছেন, ‘দেশনেত্রী ফিরছেন—এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় স্বস্তি।’
কেউ কেউ আবার মুঠোফোনে ফেসবুক লাইভে আছেন ফিরোজার সামনে থেকে।
এর আগে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওয়ানা করেন খালেদা জিয়া। এ সময় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
কাতারে যাত্রাবিরতিকালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন কাতারে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলথানির সৌজন্যে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন থেকে দোহা হয়ে ঢাকার পথে রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
সূত্র: যুগান্তর