সর্বশেষ
সাবেক রেলমন্ত্রীসহ দুই এমপি, পঞ্চগড়ের সাবেক ডিসি-এসপির বিরুদ্ধে মামলা
দাফনের ৬ মাস পর সাবেক কমিশনারের লাশ উত্তোলন, স্ত্রীসহ ৪ জনের নামে মামলা
চাঁদের নমুনা পরীক্ষায় চীনকে সহায়তা করবে না নাসা
উল্টোপথে যান চলাচল, ডিএমপির দেড় শতাধিক মামলা
আনসার ভিডিপির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণের সমাপনী
শিশুদের মোবাইলে আসক্তি কমানোর উপায়
প্রযুক্তি জ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে প্রকৌশলীদের সম্পৃক্ত থাকতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
চিলমারী খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ মিলারদের মাঝে চাল বিভাজনে অনিয়মের অভিযোগ
গোবিন্দগঞ্জে খাদ্যবন্ধব কর্মসূচীর ১শ ১৯ বস্তাচাল সহ কামারদহ ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব সাবু আটক
মেট গালার লুকে অনাগত সন্তানকে অপূর্ব ট্রিবিউট দিলেন হবু মা কিয়ারা
হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে কী করবেন?
‘পাকিস্তান সর্বশক্তি দিয়ে জবাব দেবে’, পাক সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে তোলপাড়
কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘে রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলছে
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন চেম্বারে স্থগিত
‘সব প্রতিশ্রুতি মিথ্যা, কেউ পাশে থাকে না’

শিশুদের মোবাইলে আসক্তি কমানোর উপায়

অনলাইন ডেস্ক

আধুনিক যুগে মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরাও এখন এই ছোট স্ক্রিনের জগতে বুঁদ হয়ে থাকছে। বিনোদন, শিক্ষা কিংবা যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলেও, অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কারণে শিশুদের মধ্যে বাড়ছে আসক্তি। এই আসক্তি তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ফেলছে নেতিবাচক প্রভাব, কেড়ে নিচ্ছে তাদের স্বাভাবিক শৈশব।

তবে বকাঝকা করে মোবাইলের আসক্তি কমানো যায় না। বরং দরকার বিকল্প আনন্দের ব্যবস্থা—যে আনন্দে সে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিতে চাইবে। আপনার শিশুর আগ্রহ বুঝে এমন কিছু কাজের সুযোগ করে দিন, যাতে সে আনন্দ পায়। মনে রাখবেন, কখনো কখনো কিছু এলোমেলো হয়ে যেতেই পারে, কিন্তু সেটাই তো সন্তান লালনের প্রকৃত সৌন্দর্য। আর হ্যাঁ, আপনি নিজেও শিশুদের সামনে অপ্রয়োজনে মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন—কারণ তারা দেখেই শেখে।

রং দিয়ে খেলার মজা

রঙের দুনিয়ায় শিশুকে নিমন্ত্রণ জানান। জলরং, তেলরং বা আঙুলের রং—যেটাই হোক, শিশুকে মুক্তভাবে আঁকতে দিন। ইজেলে ছবি আঁকা, দেওয়ালে ক্রিয়েটিভ আঁকিবুঁকি বা মেঝেতে আলপনা আঁকা—সবকিছুই হতে পারে তার সৃজনশীলতার খেলা। রং মিশিয়ে নতুন রঙ তৈরি করাও মজার অভিজ্ঞতা হতে পারে।

কাগজ আর কার্টন দিয়ে সৃষ্টিশীল কাজ

পুরোনো কাগজ বা কার্টন দিয়ে খেলাধুলাও হতে পারে অসাধারণ। শিশুকে কেটে কিংবা ভাঁজ করে ফুল, গাছ, পাখি, চাঁদ-তারা বানাতে দিন। রঙিন কাগজ এনে দিন, সে যেন নিজের মতো করে সৃজন করতে পারে। তার বানানো শিল্পকর্ম ঘরের সাজে ব্যবহার করলেও সে গর্ব অনুভব করবে।

মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া

নার্সারি থেকে আনা মাটি কিংবা প্লে-ডো দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে দিন তাকে। চাইলে বানানো জিনিসে রঙ করতে পারেন একসাথে। এই কাজগুলো শুধু আনন্দই নয়, হাতের নিপুণতাও বাড়াবে।

গল্প আর অভিনয়ের খেলাঘর

শিশুকে গল্প বানাতে উৎসাহ দিন। সে গল্প বলতে পারে, অভিনয় করতে পারে, কিংবা প্রিয় বইয়ের চরিত্রগুলো জীবন্ত করে তুলতে পারে অভিনয়ের মাধ্যমে। চাইলে বিজ্ঞানের ছোট ছোট পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চালাতে পারেন একসঙ্গে, যেন শেখার মধ্যে থাকে চমক আর কৌতূহল।

প্রকৃতির সঙ্গে বন্ধুত্ব

শিশুকে নিয়মিত নিয়ে যান পার্ক বা খোলা জায়গায়। পাতা, ফুল কুড়িয়ে তার নিজস্ব কালেকশন তৈরি করতে দিন। পাতার ছাপ নিয়ে মজার আর্টও করতে পারে। জায়গা থাকলে তাকে সঙ্গে নিয়ে কিছু গাছ লাগান। কোনো পোষা প্রাণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করিয়ে দিন—এতে তার যত্নশীলতা ও সহানুভূতির গুণ বিকশিত হবে।

সবশেষে মনে রাখুন, শিশুর চোখের সামনে যা ঘটে, সেটাই তার শেখার সবচেয়ে বড় উৎস। তাই আনন্দময় ও অর্থবহ বিকল্প বিনোদনের ব্যবস্থা করে মোবাইলের জায়গা সহজেই দখল করে নেওয়া যায়—শুধু দরকার ধৈর্য, ভালোবাসা আর কিছু সময়।

 

সূত্র: নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ