পঞ্চগড়ে বহুল আলোচিত বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিন হত্যার ঘটনায় সাবেক রেলমন্ত্রীসহ দুই এমপি, পঞ্চগড়ের সাবেক ডিসি-এসপির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে আদালত পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশকে মামলাটি তদন্তসাপেক্ষে এজাহার হিসেবে গণ্য করার আদেশ দিয়েছেন।
সোমবার পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (আমলি আদালত-১) আরেফিনের স্ত্রী শিরিন আক্তার বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার আর্জি সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় ১৫৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রধান আসামি হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট। অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড় ১ ও ২ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান মুক্তা ও মজাহারুল হক প্রধান, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, তৎকালীন জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, তৎকালীন পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলাম, তৎকালীন পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র জাকিয়া খাতুন, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর পাঁচজন হাসনাত হামিদুর রহমান, লুৎফর রহমান, মোস্তফা কামাল, আরিফুর রহমান পল্লব, আশরাফুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের ১৫৪ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ এবং আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। মিছিলে লাঠিচার্জ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আওয়ামীলীগ কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপির মিছিলে হামলা করে। সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হন। পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের বিএনপি পার্টি অফিস এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিনের মৃত্যু হয়।
সূত্র: যুগান্তর