কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তানের নয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এতে বেশ কয়েকজন বেসামরিক হতাহত হয়েছেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘সর্বোচ্চ সংযমের’ আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের লাইভ খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানি ট্রাম্বলে পুনর্ব্যক্ত করেছেন, ‘বিশ্ব দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সামরিক সংঘাতের ভার বহন করতে পারবে না। ’
গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিশোধে পালটা হামলা চালিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।
এদিকে, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে পাকিস্তানের তিনটি প্রধান বিমানবন্দর—লাহোর, শিয়ালকোট ও করাচি—সাময়িকভাবে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ২১টি বিমানবন্দর যাত্রীবাহী ফ্লাইটের জন্য আগামী ১০ মে ভোর ৫টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সরকারের নির্দেশে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু পত্রিকার হাতে আসা একটি নোটিশ টু এয়ারম্যান (এনওটিএএম)-এ জানানো হয়েছে, এই বিমানবন্দরগুলো ১০ মে সকাল পর্যন্ত সাময়িকভাবে ফ্লাইট চলাচলের বাইরে থাকবে।
সূত্র: যুগান্তর