সর্বশেষ
ফের ১ লাখ ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে সাড়া ফেলল বিটকয়েন
হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার রিপোর্ট দাখিল সোমবার
স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ভালো গাজর
এসি থেকে বৃষ্টির মতো পানি পড়ছে? যেভাবে সমাধান
বৃষ্টি কবে জানালো আবহাওয়া অফিস
অকালে চুল পাক আর খুশকি দূর করতে বিশেষ পদ্ধতিতে মাখুন কর্পূর
পাকিস্তানে থাকা রিশাদ-নাহিদ কী করবেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা গেল
মঞ্চে জুমার নামাজ আদায় আন্দোলনকারীদের, সমাবেশ শুরু
বড় বেতনে বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে সরকার
জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কারা নির্বাচন করবে: মঈন খান
বিচ্ছেদের পর নতুন প্রেমের জোয়ারে ভাসছেন সামান্থা
বাংলাদেশের হয়ে শমিতের খেলা নিয়ে যা বলছে তার ক্লাব
রাতারাতি পরিস্থিতির অবনতি, আইপিএল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
কারা সংসদ গঠন করবে তা ঠিক করবে জনগণ: ফারুক

রাতে কেন বেড়ে যায় হাঁপানির টান?

অনলাইন ডেস্ক

আজ বিশ্ব হাঁপানি দিবস। হাঁপানি বা অ্যাজমা হল ফুসফুসের একটি দীর্ঘস্থায়ী বা ক্রনিক রোগ। এই রোগে শ্বাসনালী অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন উত্তেজক যেমন – অ্যালার্জেন (ধুলো, পরাগরেণু), ধোঁয়া, ঠান্ডা বাতাস বা সংক্রমণের সংস্পর্শে এলে ফুলে যায়, সংকুচিত হয় ও এতে প্রদাহ হয়। এর ফলে শ্বাসনালীর পথ সরু হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত শ্লেষ্মা বা কফ তৈরি হয়। এই কারণে রোগীর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বুকে চাপ লাগে বা সাঁ সাঁ শব্দ হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে কাশি হয় এবং সামগ্রিকভাবে শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। হাঁপানি পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য না হলেও, সঠিক চিকিৎসা, ঔষধ গ্রহণ এবং উত্তেজক কারণগুলি এড়িয়ে চলার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব।

রাতে কেন হাঁপানি বেড়ে যায়? রাতে বা ভোরের দিকে হাঁপানির উপসর্গ বেড়ে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। বিজ্ঞানের ভাষায় একে নকটারনাল অ্যাজমা বলা হয়।
১.  সার্কাডিয়ান রিদম বা দৈহিক ছন্দ: শরীরের স্বাভাবিক জৈবিক ঘড়ি অনুসারে রাতে কিছু হরমোনের (যেমন কর্টিসোল ও অ্যাড্রেনালিন, যা শ্বাসনালীকে খোলা রাখতে ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে) নিঃসরণ কমে যায়। একই সময়ে, হিস্টামিনের মতো প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদানগুলির কার্যকারিতা বাড়ে। এছাড়াও, রাতে শ্বাসনালী স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা সংকুচিত হয়।

২.  অ্যালার্জেনের সংস্পর্শ বৃদ্ধি: শোবার ঘরে, বিশেষ করে বিছানার তোশক, বালিশ, কম্বল বা কার্পেটে ধুলোর মাইট, পোষা প্রাণীর লোম এবং ছত্রাকের মতো অ্যালার্জেন বেশি পরিমাণে থাকে। ঘুমের সময় দীর্ঘক্ষণ এগুলোর সংস্পর্শে থাকার ফলে হাঁপানির উপসর্গ বেড়ে যেতে পারে।

৩.  ঠান্ডা বাতাস: রাতের তাপমাত্রা সাধারণত দিনের চেয়ে কম থাকে। ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস শ্বাসনালীকে আরও স্পর্শকাতর করে তুলতে পারে এবং হাঁপানির টান বাড়াতে পারে।

৪.  শোয়ার ভঙ্গি: চিৎ বা উপুড় হয়ে শোয়ার ফলে ফুসফুসের উপর বাড়তি চল পরে, ফলে শ্বাসনালীর পথ আরও সরু হতে পারে। এছাড়া, এই ভঙ্গিতে সাইনাস থেকে নিঃসৃত শ্লেষ্মা গলায় নেমে এসে কাশি বা শ্বাসনালীতে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।

তবে যদি দিনের পর দিন এই সব সমস্যা বাড়তেই থাকে তখন অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

 

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ