চটজলদি তৈরি হয়ে যাওয়া খাবারের মধ্যে সাবুদানা (সাগুদানা) জনপ্রিয় একটি খাবার। সাবুদানা দিয়ে তৈরি যেকোন খাবারই খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করে ফেলা যায়। পাশাপাশি সাবুদানা ক্ষীর হোক কিংবা সাবুদানার খিচুড়ি থেকে সাবুদানা দিয়ে তৈরি যে কোন খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাবুদানা খুবই সহজপাচ্য এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সাবু শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটের দারুণ একটি উৎস। সাবুদানার রয়েছে আরও অনেক গুণ। শুধু যে চটজলদি খাবার তৈরি করে ফেলা যায় তা নয়। বিশেষত, নারীর স্বাস্থ্যরক্ষায় বেশ কার্যকর এই খাবার। এবং সেই কারণেই প্রতিদিনের ডায়েটে সাবুদানা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
জেনে নিন সাবুদানার উপকারিতাগুলো-
ওজন বাড়ায়- ওজন বৃদ্ধি করতে চান এমন মানুষদের ক্ষেত্রে সাবুদানা খুবই কার্যকর হতে পারে। সাবুদানা স্টার্চজাতীয় শর্করার খুব ভালো উৎস। অতিরিক্ত ওজন যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর তেমনই একেবারে ওজন কমে যাওয়াও সুস্থতার লক্ষণ নয়। স্নেহ পদার্থের সুষম বণ্টনে সহায়তা করে সাবু।
গ্লুটেনমুক্ত খাদ্য– সাবুর মতো গ্লুটেনবিহীন খাদ্য উপাদান প্রকৃতিতে বিরল। গ্লুটেন কিছু কিছু মানুষের দেহে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে তাই বর্তমানে অনেকেই গ্লুটেনমুক্ত খাবার খেতে চান। যেহেতু গম বা বার্লির মতো খাদ্যে গ্লুটেন থাকে, তাই তার বিকল্প হতে পারে সাবু।
অন্ত:সত্ত্বাদের জন্য সাবুদানাতে পরিমিত পরিমাণে ‘ফোলেট’ নামক একটি উপাদান থাকে। সাবুদানাতে ভ্রূণের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। কারও কারও মতে, সাবু শিশুর জন্মের পূর্ববর্তী জটিলতা দূর করতেও সহায়তা করে।
ঋতুস্রাবের সময়– সাবু ঋতুস্রাব চলাকালে নারীদের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। সাবুতে উপস্থিত ফোলেট লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে।
স্বাদ ফেরায়– জিহ্বাতে অবস্থিত স্বাদকোরকগুলিকে উদ্দীপিত করে সাবু। ফলে রোগগ্রস্ত অবস্থা থেকে মুক্তির সময়ে মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে সাবু।
সাবুদানার খিচুড়ি: সাবুদানা ধুয়ে নিন ও সারারাত ভিজতে দিন। সকালে পানি ফুটিয়ে সেদ্ধ করে নিন। প্যানে ঘি অথবা মাখন দিয়ে জিরের ফোড়ন দিন। পছন্দসই সবজি মিলিয়ে নেড়ে নিন। সেদ্ধ সাবুদানা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, গরম মসলা, লবণ মিলিয়ে নাড়তে থাকুন। গরম গরম পরিবেশন করুন।