ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। শনিবার (১০ মে) দুপুর ২ টায় গণঅধিকার পরিষদের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গিয়ে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের,যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সাব্বির আহমেদ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপিতে গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার, আহতদের পুনর্বাসন, শহিদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, শহিদ ও আহতদের প্রকৃত তালিকা প্রণয়নের অগ্রগতি এবং ডামি রাষ্ট্রপতি, হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার সহযোগীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
তারা বলেছে, রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। আ.লীগের বিষয়ে জনগণের সেন্টিমেন্ট অত্যন্ত নেতিবাচক। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। জনগণের এই দাবি পূরণে গণঅধিকার পরিষদ জাতীয় সংলাপের প্রস্তাব করছে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, গণহত্যার বিচার নিয়ে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। দ্রুতসময়ে বিচার নিষ্পত্তিকরণে ন্যূনতম ৫টি ট্রাইবুনাল গঠনের প্রস্তাব করছে গণঅধিকার পরিষদ। এখন পর্যন্ত শহিদ ও আহতদের প্রকৃত তালিকা তৈরির কাজ শেষ হয়নি। শহিদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের পুনর্বাসন নিয়ে সরকারের চিন্তা ও পদক্ষেপ যথেষ্ট দৃশ্যমান নয়। যাদের রক্ত ও সংগ্রামের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাদের যথাযথ মর্যাদা ও ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব করছে গণঅধিকার পরিষদ।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামালার আসামি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের সুযোগ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। দলটি বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সবুজ সংকেত পেয়ে ডামি রাষ্ট্রপতি, হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদ তার পুত্র ও শ্যালককে নিয়ে গত ৮ মে দেশ ছেড়েছে। এ বিষয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। গণঅধিকার পরিষদ উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছে।
সূত্র: যুগান্তর