জাল দলিল করে প্রকৃত জমির মালিকের কাছ থেকে জালিয়াতি পূর্বক জমি নেওয়ার পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবে দুই ডজন মামলা দায়ের করেছে প্রতিপক্ষ। এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বরিশাল নগরীর বিউটি রোডের বাসিন্দা সৈয়দ জুলফিকার উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সৈয়দ আশিক চৌধুরী ও তার স্ত্রী সুমি। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে আশিক চৌধুরী বলেন, বরিশাল চকবাজার রোডস্থ বিউটি হলের ৩৮.৫০ শতাংশ জমির মালিক আমি এবং আমার বোন। এ জমিসহ পার্শ্ববর্তী অংশ মিলিয়ে মোট ৫৩.৭০ শতাংশ জমির রেকর্ডিয় মালিক আমি আমার মা ও বোন। কিন্তু এ জমির অনুকূলে খুলনা ইসলামকাঠি থেকে জালিয়াতিপূর্বক তিনটি জাল দলিল তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে যার মালিক হলেন- মৃত. কাদের মল্লিক, রাশিদা বেগম ও মো. মফিজুল ইসলাম (কাজী কামাল)। কাজী কামাল শেখ হাসিনার বেয়াই ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর আপন মামা। ওই জমি নিয়ে আদালতে নিষেধাজ্ঞা ছিল, কিন্তু সম্প্রতি আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি চলতি মাসের ৯ মে চকবাজার বিউটি রোডস্থ আমার জমিতে কার্যক্রম শুরু করেছি। ১০ মে সকালে কার্যক্রম করতে বাধা দেয় কাজী কামালের লোকজন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার শুরুতে আমাকে জিম্মি করে ১০০ টাকার ৩টি স্টাম্পে ১২ কোটি টাকা আমি নিয়েছি এ মর্মে লিখিত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে বলেন কাজী কামাল। তার অফিসে আমাকে ডেকে নেওয়ার পর টেবিলের সামনে থাকা চুক্তিনামায় ওই লেখা দেখার পর, আমি তা না দেখার ভান করে রুম থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যাই। এরপর একাধিকবার খবর দেওয়ার পরেও কাজী কামালের কাছে না যাওয়ার পর শুরু হতে থাকে একের পর এক মামলা। কাজী কামাল ও তার নেতৃত্বে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি বাদী হয়ে আমি ও আমার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের আসামি দুই ডজন মামলা করেছেন।
ভুয়া জমির দলিল দিয়ে জমির মালিকানা দাবিতে ২০২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বরিশাল অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল। আদালত ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রেুয়ারি আমি পক্ষে রায় দেন। তবে আওয়ামী লীগের দলীয় ক্ষমতার প্রভাবে আমাদের জমির কাছেও যেতে দেইনি কাজী কামাল ও তার বাহিনী।
উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হামলা মামলার কাগজপত্রসহ জাল দলিলের তথ্য প্রমাণ তুলে ধরেন আশিক চৌধুরী। এসব বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও বর্তমানে কাজী কামাল জেল হাজতে থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সূত্র: যুগান্তর