সর্বশেষ
সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত
‘জুলাই’ শহীদ পরিবার সোসাইটির সঙ্গে জামায়াত আমিরের মতবিনিময়
বৈষম্য নিরসনে ১৬ দাবি জাতীয় শিক্ষক ফোরামের
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান, আকস্মিক ঘোষণা ট্রাম্পের
পাকিস্তান সফর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’: ক্রীড়া উপদেষ্টা
পাঁচ সচিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
আ.লীগ নিষিদ্ধে এক ঘণ্টার আলটিমেটাম
দেশে বর্তমানে যথেষ্ট খাদ্য মজুত রয়েছে: খাদ্য উপদেষ্টা
দেশের ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না: ফখরুল
হাসিনার বেয়াইয়ের করা ২ ডজন মামলার আসামি স্বামী-স্ত্রী
ভারত কি নিজের পায়ে কুড়াল মারল?
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ: সারাদিনে যা ঘটল
জনবল নিয়োগ দেবে ডিপিডিসি, আবেদন অনলাইনে
‘আমরা ফ্লাই করার ২০ মিনিট পর এয়ারপোর্টে মিসাইল পড়ে’
নির্বাহী আদেশে আ.লীগ নিষিদ্ধ সংকটের সমাধান নয়

বৈষম্য নিরসনে ১৬ দাবি জাতীয় শিক্ষক ফোরামের

১৬ দাবি নিয়ে শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করার পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থার মান উন্নয়নে ইসলামিক স্কলারদের সমন্বয়ে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের নেতারা।

শনিবার (১০ মে) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে ফোরামের নেতারা এসব দাবি তুলে ধরেন।

জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন খান এর সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ পর্যন্ত সাতটি শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়েছে। ১৯৭২ সালের কুদরতিকুদা শিক্ষা কমিশন থেকে শুরু করে ২০১০ সালে কবির চৌধুরী কমিশন পর্যন্ত কোন কমিশনই বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না। বিগত দিনে শাসক গোষ্ঠী শিক্ষাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে রেজিমকে পাকাপোক্ত করেছে।

তারা বারও বলেন, সরকার বিতর্কিত নারী শিক্ষা কমিশন গঠনে যতটা আগ্রহী শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনে ততটা অনাগ্রহী। অথচ শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠিত না হওয়াই বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনেক কর্মকর্তা যৌক্তিক দাবি পূরণে বাঁধা সৃষ্টি করছে। বারবার রাজপথ এবং সভা-সেমিনারের মাধ্যমে সরকারের কাছে যৌক্তিক দাবী তুলে ধরলেও তাদের নির্লিপ্ততা প্রমাণ করে সরকার শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনে আন্তরিক নয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, রাষ্ট্রের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা সম্ভব হলেও কোন অদৃশ্য শক্তির বলে তা করা হচ্ছে না সেটা শিক্ষক সমাজ জানতে চায়।

সেমিনারে শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক নেতারা সেমিনারে পঠিত ১৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক ডা. আব্দুস সবুর এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবিএম জাকারিয়া।

সেমিনারে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ১৬ দফা দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো:

১.দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মান উন্নয়নে ইসলামিক স্কলারদের সমন্বয়ে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা।
২. বৈষম্য নিরসনে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা।
৩. সরকারি শিক্ষকদের ন্যায় ৪৫% বাড়ি ভাড়া ও শতভাগ (১০০%) উৎসব ভাতা প্রদান করা।
৪. মাধ্যমিকের শিক্ষক সংকট কাটাতে প্রাইমারির ন্যায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আলিয়া মাদরাসায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং এনটিআরসি থেকে পাশকৃতদের সকলকে নিয়োগ প্রদান করে শিক্ষক সংকট দূর করা।
৫. মাধ্যমিকে সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের সরাসরি সহকারী প্রধান ও প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা।
৬ . ঘোষিত সকল ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা। যত দ্রুত সম্ভব প্রজ্ঞাপন জারি করা।
৭. অবসর ও কল্যাণ বোর্ডে বিশ্বস্ত সৎ জনবল নিয়োগ দিয়ে তহবিলের টাকা দ্রুত দেয়ার ব্যবস্থা করা।
৮. দেশের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস এর আলোকে সকল সেক্টরের সিলেবাস বিন্যাস করা। দেশের সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চালু করা।
৯. বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো ও শিক্ষা কমিশন গঠন করা।
১০. নিঃস্বার্থ সর্বজনীন বদলি প্রথা চালু করা।
১১. ইএফটিতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ ও শিক্ষক হয়রানি বন্ধ করা।
১২. আসন্ন বাজেটে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া।
১৩. আলিয়া মাদরাসার পাঠ্যপুস্তক পূর্বের ন্যায় মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ছাপানোর ব্যবস্থা করা যাতে মাদরাসা শিক্ষার স্বকিয়তা বজায় থাকে।
১৪. এক্সক্লুসিভ বা ইনক্লুসিভ ও বিভিন্ন জীবনধারার শব্দের মারপ্যাচে কোনভাবেই যেন ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ বা এলজিবিটিকিউ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত না হয় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা।
১৫. দেশের সকল প্রাইমারি স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ প্রদান এবং ২০১৮ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক-শূন্য পদে নিয়োগ বঞ্চিতদের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে দ্রুত নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
১৬. আলিয়া মাদ্রাসায় ৩০% মহিলা শিক্ষিকা নিয়োগ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত, মাদরাসা শিক্ষার ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক। এতে মাদরাসা শিক্ষার শৃঙ্খলা ও স্বক্রিতায় প্রভাব পড়বে।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, আমাদের ছেলেদের মাদরাসায় শতভাগ পুরুষ শিক্ষক এবং মেয়েদের মাদরাসায় শতভাগ নারী শিক্ষিকা নিয়োগ করা হোক। যা মাদরাসা শিক্ষার স্বকীয়তা বজায় এবং ধর্মীয় শৃঙ্খলা রক্ষা হবে বলে মনে করছে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম।

 

সূত্র: নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ