সাম্প্রতিক মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ‘বিশেষ প্রতিবেদন’ সম্পর্কে প্রতিবাদ বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. কর্নেল (অব.) জেহাদ খান। তিনি বলেছেন, পারিবারিকভাবে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আমাদের আত্মীয় হলেও আমার পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে অধিকাংশই জামায়াত সমর্থক। শুধু ব্যক্তি আবদুল হামিদের জন্য আমার পরিবারকে বিবেচনা করা ভুল সিদ্ধান্ত। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এ বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আমি চরম ক্ষোভ ও বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, নাজমুস সাকিব নামের এক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ও পেজ থেকে আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মনগড়া, বিভ্রান্তিকর এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যেখানে কল্পনাভিত্তিক দাবি করা হচ্ছে- আমি নাকি সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিদেশ গমনের অনুমতির জন্য রাষ্ট্রের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ‘ধরনা দিয়েছি’ এবং একটি ‘সেফ এক্সিট প্ল্যানের’ মূল পরিকল্পনাকারী!
তিনি আরও বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আমার জীবনে কখনো আমি ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিনি, বা তার সঙ্গে কোনোদিন কথাও হয়নি। তার সঙ্গে আমার কোনো পরিচয়, যোগাযোগ বা রাজনৈতিক সম্পর্কও নেই। আমি কারও বিদেশ গমনের সুপারিশ করিনি, করতেও পারি না।
তিনি রাষ্ট্রের কোনো দায়িত্বে নেই, রাজনৈতিক প্রশাসনের সঙ্গেও জড়িত নন ও তিনি পেশা চিকিৎসক বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, আমি সাধারণ একজন নাগরিক মাত্র। ইমিগ্রেশন পুলিশের কোনো কর্মকর্তা, বিশেষ করে ডিআইজি মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে আমার কোনো প্রকার যোগাযোগ নেই। তার কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও আমি যুক্ত নই। বরং, প্রশাসন এবং গোয়েন্দা সংস্থায় থাকা ফ্যাসিবাদের সমর্থকদের মাধ্যমেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তিনি দেশ ছেড়েছেন। আর পরিকল্পিতভাবে তাদের ভূমিকা আড়াল করতেই আমাকে টেনে আনা হচ্ছে। সুতরাং, এ বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার না করে সেফ এক্সিটে দায়ী সরকারে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের জবাবদিহিয় আনা হোক।