সর্বশেষ
আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে স্বর্ণ, ভরি কতো?
বাংলাদেশ সফর নিয়ে পিসিবির নতুন সূচি, কি করবে বিসিবি?
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
লিংকডইনে চাকরি খোঁজা এখন অনেক সহজ
দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা, যেসব জেলায় সতর্কতা
Dance of The Hillary ভাইরাস থেকে বাঁচবেন যেভাবে
৪৮-এ এসেও নতুনদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন এই আকর্ষণীয় মডেল ও অভিনেত্রী
ডায়াবেটিস রোগীরা আম-লিচু খাওয়ার ক্ষেত্রে যে নিয়ম মানবেন
ডায়াবেটিসের রোগীরা যেভাবে পাকা আম খেলে সুগার বাড়ার ভয় থাকবে না
ডায়াবেটিস রোগীরা কি কাঁঠাল খাবেন 
দশম শ্রেণিতেই হয়েছেন নায়িকা, এখনো সমান আকর্ষণীয় এই টালিউড ডিভা
জেনে নিন কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
জেনে নেই তালশাঁসের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
বিমানবন্দর থেকে ফেরত, ফিফার কংগ্রেসে যেতে পারেননি বাফুফের কর্মকর্তা কিরণ
সাইফ-অমৃতার ডিভোর্স নিয়ে যা বললেন ইব্রাহিম

ডায়াবেটিসের রোগীরা যেভাবে পাকা আম খেলে সুগার বাড়ার ভয় থাকবে না

অনলাইন ডেস্ক

বৈশাখের কাটফাটা গরমে বাঙালি খুঁজছে বৃষ্টি আর পাকা আম। গরমের মৌসুমে দেখা মেলে রকমারি আমের। এখন বাজারও ছেয়ে গেছে কাঁচা-মিঠে আমে। আর কয়েক দিন পরই বাজারে উঁকি দেবে পাকা হিমসাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়া ইত্যাদি। কিন্তু ডায়াবেটিস থাকলে কি পাকা আম খাওয়া যাবে?

আম পুষ্টিকর ফল। এই ফলের মধ্যে ভিটামিন সি, এ, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, পটাশিয়াম প্রায় সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। এছাড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ও ক্যালোরি। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা পাকা আম খাবেন কি না, তা নিয়ে দ্বন্দ্বে থাকেন।

ভারতের খ্যাতনামা ডায়েটেশিয়ান অনুশ্রী মিত্র বলছেন, ডায়াবেটিসের রোগীরাও পাকা আম খেতে পারেন। কিন্তু কয়েকটি নিয়ম মেনে খেতে হবে। তিনি বলেন, ‘উচ্চ পরিমাণে ফ্রুটোজ থাকলেও আমে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।’

ডায়াবেটিসের রোগীরা যেভাবে আম খাবেন

১) ডায়াবেটিসের রোগী না হলেও ইচ্ছে মতো পাকা আম খাওয়া চলবে না। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে। একটা বড় সাইজের আম গোটা না খেয়ে, তা সকাল-বিকাল ভাগ করে খান। একটা আম সারাদিন ধরে খেলে সুগার লেভেল বৃদ্ধির আশঙ্কা নেই।

২) গোটা আম খাবেন না। আম ছোট ছোট টুকরো করে খান। এতে মনে হবে, অনেকটা পাকা আম খেয়ে ফেলেছেন।

৩) পাকা আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। তাই ভারি খাবারের সঙ্গে পাকা আম খাওয়া এড়িয়ে চলুন। বিশেষত রাতে খাবার খাওয়ার পর পাকা আম খাবেন না।

৪) ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মধ্যবর্তী সময়ে পাকা আম খেতে পারেন। আবার ব্রেকফাস্টে দু’টো রুটির সঙ্গে এক টুকরো আম খেতে পারেন। তবে ভরপেট খাবার খাওয়ার সঙ্গে পাকা আম না খাওয়াই ভালো।

৫) ফল হিসেবেই পাকা আম খান। পাকা আমের জুস, পুডিং বা অন্য কোনো ডেজার্ট বানিয়ে খাবেন না। এতে আমের পরিমাণ বোঝা যায় না এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে।

৬) পাকা আমের সঙ্গে বাদাম, স্প্রাউট বা শসার মতো খাবার রাখতে পারেন। এতে রক্তে গ্লুকোজ নিঃসরণ ধীর গতিতে হবে। এই টোটকায় পাকা আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা চট করে বাড়বে না।

সুগার লেভেল যাচাই করে নিন-

প্রত্যেকের শরীর সমান নয় এবং শারীরিক জটিলতাও একে-অন্যের থেকে আলাদা। তাই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য পাকা আম উপযুক্ত কি না, কিংবা দিনে কতটা পাকা আম খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম, সে সম্পর্কে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা যাচাই করুন।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ