‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫’ খসড়া আচরণ বিধিমালা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ জনের অধিক একসাথে জমায়েত হওয়া যাবে না। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে থাকবে সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ এবং সব ধরনের দেয়াল লিখনে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) বিকাল ৫টায় জাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান ও অনান্য সদস্যদের সাক্ষরে এ খসড়া আচরণ বিধিমালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, এ আচরণ বিধিমালা নিয়ে কোন মতামত থাকলে তা আগামী ২১ মে বিকাল ৫ টার মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে।
আচরণ বিধিমালা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মোট ১৭ টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। অনুচ্ছেদ ৬ অনুযায়ী প্রচার সংক্রান্ত বিষয়াবলিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে ভোটার/প্রার্থী ব্যতীত অন্য কেউ কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচার চালাতে পারবে না। অনুচ্ছেদ ১২ তে বলা হয়েছে অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ মানহানিকর, অপপ্রচার, অশোভন কোন বক্তব্য বা বিবৃতি প্রচার করতে পারবে না।
বিধিমালার অনুচ্ছেদ ১৩ এবং ১৪ অনুযায়ী কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোন ব্যক্তি ভোট গ্রহণের ২ সপ্তাহ পূর্বে নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবে না। কোন প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণায় মাইক ব্যবহার করতে পারবে না। অনুচ্ছেদ ৭ এ বলা হয়েছে ক্যাম্পাস, হল এলাকায় অবস্থিত কোনো প্রকার স্থাপনা, দেয়াল, যানবাহন, গাছপালা, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তুতে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না।
তবে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্থাপিত ও নির্ধারিত বোর্ডে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাতে পারবেন।
১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে নির্বাচনে প্রার্থীর খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে,কোন প্রার্থী হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা এবং কেন্দ্রীয় সংসদে নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
২১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন বানচাল করা বা করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮’ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কমিশন প্রয়োজনে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবে।