স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান (এসবিপি) বুধবার নিশ্চিত করেছে যে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) প্রোগ্রামের আওতায় দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার পেয়েছে পাকিস্তান। এসবিপি জানিয়েছে, এই অর্থ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ১৬ মে অন্তর্ভুক্ত হবে।
এ অর্থ ছাড়ের আগে গত ৯ মে ওয়াশিংটনে আইএমএফ নির্বাহী বোর্ডের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে পাকিস্তানের ৭০০ কোটি ডলারের ঋণ অব্যাহত রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, আইএমএফ একটি নতুন ২৮ মাসব্যাপী রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) কর্মসূচিও অনুমোদন করেছে। যার মাধ্যমে পাকিস্তান অতিরিক্ত ১.৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পাবে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তোলা।
বোর্ড সভা-পরবর্তী বিবৃতিতে আইএমএফ পাকিস্তানের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা জানায়, মুদ্রাস্ফীতি ২০১৫ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসেছে, আর্থিক অবস্থা উন্নত হয়েছে এবং দেশের বৈদেশিক খাত শক্তিশালী হয়েছে।
তবে, আইএমএফ অর্থনীতির কিছু মৌলিক দুর্বলতার দিকও তুলে ধরে— যেমন সংকীর্ণ কর কাঠামো, দুর্বল শাসনব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক খাতে বিনিয়োগের অভাব।
এসবিপি জানিয়েছে, আইএমএফ-এর এই অর্থপ্রবাহ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করবে এবং সরকারের সংস্কারমূলক কার্যক্রমকে সহায়তা করবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এ অর্থপ্রাপ্তি পেমেন্ট ভারসাম্যে স্বস্তি আনবে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।
সূত্র: সামা টিভির