পুণ্যভূমি সিলেট থেকে পবিত্র নগরী মদিনার উদ্দেশে হজের প্রথম ফ্লাইট যাত্রা শুরু করেছে। বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২৩৭ ফ্লাইট ৪০৮ জন হজযাত্রী নিয়ে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছে।
আজ বুধবার (১৪ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় এই ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (বিমান) মো. সফিউল আলম।
এ বছর সিলেট থেকে মোট পাঁচটি সরাসরি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এর মধ্যে আজকের ফ্লাইটটি ছিল প্রথম। বাকি ৪টি ফ্লাইট যথাক্রমে ২৩, ২৫, ২৬ ও ২৯ মে সিলেট-জেদ্দা রুটে পরিচালিত হবে। সিলেটের হজযাত্রীরা এবারের ফ্লাইটের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বেশ সন্তুষ্ট এবং তারা ভবিষ্যতে সিলেট থেকে সরাসরি ফ্লাইটের সংখ্যা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
এবার সিলেট থেকে মোট দুই হাজার ৭০০ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাচ্ছেন, এর মধ্যে দুই হাজার ৯০ জন সিলেট থেকে সরাসরি মদিনার উদ্দেশে রওনা দেবেন। বাকিরা ঢাকা বিমানবন্দর হয়ে সৌদি আরব যাবেন।
এর আগে সিলেট থেকে হজ ফ্লাইট পরিচালিত হলেও এবার সরাসরি মদিনার উদ্দেশে ফ্লাইট চালু হওয়ায় এখানকার স্থানীয় হজযাত্রীরা অনেক খুশি।
সিলেট-মদিনা হজ ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মো. সফিউল আলম বলেন, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন এবং সিলেট থেকে ২ হাজার ৭০০ জন হজে অংশগ্রহণ করবেন।
তিনি আরও বলেন, হজযাত্রীদের যাত্রা যাতে কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই সম্পন্ন হয় এবং এটি তাদের জন্য আরামদায়ক হয়, সেজন্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সংস্থা একযোগে কাজ করছে। সরকার সব পর্যায়ে হজযাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে মনিটরিং করছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ। তিনি বলেন, আজকের দিনটি সিলেটবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিলেট থেকে সরাসরি মদিনায় ফ্লাইট চালু হওয়ায় হজযাত্রীদের জন্য অনেক সহজ হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, যাত্রীদের যাত্রা যেন নির্বিঘ্ন এবং নিরাপদ হয়, সেজন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হজযাত্রীদের সেবায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত। আমাদের সব কর্মকর্তারা সিলেট বিমানবন্দর ও সেবা ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করতে কাজ করছেন।
হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশ (হাব) সূত্রে জানা যায়, এবারের হজযাত্রীদের জন্য রোড টু মক্কা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এর আওতায়, ঢাকায় যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তবে, সিলেট থেকে যাত্রা করা হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন সৌদি আরবে, অর্থাৎ মদিনা বা জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হবে। এই ব্যবস্থা হজযাত্রীদের জন্য যাত্রা সহজ ও নির্বিঘ্ন করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, হজ যাত্রীদের যাত্রা আরও নিরাপদ ও সুবিধাজনক করতে সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি হজ যাত্রীদের জন্য সমস্ত কার্যক্রমের সার্বিক তদারকি করবে, যাতে তাদের যাত্রা শান্তিপূর্ণ ও আরামদায়ক হয়।
সূত্র: নিউজ টোয়েন্টিফোর