সর্বশেষ
ফুটবল কোচের মতো দলে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চান গম্ভীর
রাজনৈতিক অস্তিরতা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস
যেকোনো বিষয়ে স্নাতকে চাকরি, বয়স ৪২ হলেও আবেদন করা যাবে
ঐকমত্য গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা চাইলেন আলী রীয়াজ
হাতিরঝিলে ভাঙা সীমানা দ্রুত মেরামতের নির্দেশ রাজউকের
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উচ্ছেদ অভিযান
মণিপুরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১০ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত
ফের আলোচনায় সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা
রাজধানীর যেসব স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট
ইশরাক শপথ না পড়া পর্যন্ত অবস্থান থেকে নড়বেন না তারা
দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে
গরমেও হাত-পায়ের চামড়া ওঠে যে ভিটামিনের অভাবে
গরমে বাড়ছে খোসপাঁচড়া
জেনে নিন দেশীয় নানা ফলের উপকার এবং ক্ষতিকর দিক
কেয়া পায়েলসহ ৬ অভিনেত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ

গরমে বাড়ছে খোসপাঁচড়া

অনলাইন ডেস্ক

প্রচণ্ড গরমে নানা ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১১০০ থেকে ১২০০ রোগী সেবা নিতে আসছেন। এসব রোগীর মধ্যে ৯০ শতাংশই স্ক্যাবিস বা খোসপাঁচড়ায় আক্রান্ত। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এ রোগের হার অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে।

লক্ষণ কী, কখন বেশি হয়

স্ক্যাবিস হলে সারা শরীর চুলকায়। আঙুলের ফাঁকে, নিতম্ব, যৌনাঙ্গ, হাতের তালু, কবজি, বগল, নাভি ও কনুইয়ে চুলকানি শুরু হয়। পরে আরও বাড়তে থাকে। চুলকানি বেশি হয় রাতেই। ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি ওঠে, যা খুব চুলকায় এবং তা থেকে পানির মতো তরল পদার্থ বের হয়। খোসপাঁচড়া সাধারণত বেশি হয় গরমকালে।

অত্যন্ত ছোঁয়াচে

খোসপাঁচড়া অত্যন্ত ছোঁয়াচে একটি রোগ। পরিবারের একজনের হলে অন্য সদস্যদের মধ্যেও ছড়াতে পারে। তাই রোগীসহ পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে হবে। আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত কাপড়, গামছা, তোয়ালে, বিছানার চাদর, বালিশ ব্যবহার করলে একজন থেকে আরেকজনে এ রোগ ছড়াতে পারে। তাই এ রোগে আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত কাপড়চোপড় পরিবারের অন্যদের ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। চিকিৎসা নেওয়ার পর কাপড়, বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদি ভালো করে ধুয়ে কড়া রোদে শুকাতে হবে বা আয়রন করে নিতে হবে।

চিকিৎসা

নিয়ম মেনে চিকিৎসা নিলে দুই সপ্তাহের মধ্যেই স্ক্যাবিস সেরে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক মলম ব্যবহার করতে হবে। চুলকানির জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন করা যাবে। দ্বিতীয় দফায়ও এই রোগ হতে পারে। সাধারণত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা চিকিৎসা না নিলে বা সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকলে দ্বিতীয়বার আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ে।

শিশুদের যেহেতু বেশি হয়, তাই বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। গরমকালে শিশুদের কুসুম গরম পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। থাকতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। প্রচুর পানি ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে।

ভ্যাপসা গরমে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনই হাসপাতালে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই এ নিয়ে সচেতন হতে হবে।

  • অধ্যাপক ডা. ইশরাত ভুইয়া: বিভাগীয় প্রধান, চর্ম যৌনরোগ বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ