অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটক হয়ে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। প্রায় ৯ মাস আগে দালালের মাধ্যমে ভারতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন তারা।
বাংলাদেশ নাগরিকরা হলেন- কুমিল্লার ফারজানা আহমেদ নিপা, ফেনীর মো. ইব্রাহিম, বাগেরহাটের হেলাল জমদ্দার, রাজশাহীর মো. আকরামুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কবীর শেখ, রাহুল শেখ, মো. আশরাফুল হক, সুমন রানা, বদরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মান্নান ও মো. রুহুল আমিন।
হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাই-কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনসুলার অ্যাসিস্টেন্ট ওমর শরীফ, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জি এম রাশেদুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন ওসি আব্দুস সাত্তার, আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন, আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মো. মুখলেছুর রহমান, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সিনিয়র অফিসার মো. শিহাবুল হোসেন প্রমুখ।
ভারত থেকে আসা হেলাল জমাদ্দারের ভাই মো. বেলাল জমাদ্দার বলেন, আমার ভাই ৮ মাস আগে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয় যান। পরে খবর পাই, ভারতে গিয়ে আটক হয়েছেন। সরকারি প্রক্রিয়া শেষে আজ ফিরে এসেছে।
ফারজানা আক্তারের মা রাবেয়া আক্তার বলেন, আমার মেয়ে বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ভারতে চলে যায়। সেখানে পুলিশের হাতে আটকা পরে।
ত্রিপুরার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনসুলার অ্যাসিস্টেন্ট ওমর শরীফ বলেন, প্রায় ৮ মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন তারা। আদালতের মাধ্যমে কারাভোগ শেষে তাদেরকে ত্রিপুরার অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টারে রাখায় হয়। জানতে পেরে বাংলাদেশ সরকারকে তাদের নাম ঠিকানা পাঠায়। নাগরিকত্ব যাচাই শেষে ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আমরা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করি।