ত্বক যখন নিষ্প্রাণ, দাগছোপ বা রঙের তারতম্য দেখায়, তখন বুঝতে হবে ত্বক পুষ্টির অভাবে ভুগছে। আর পুষ্টির অভাব মানেই দ্রুত বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা দেওয়া। যেমন ফাইন লাইন, রুক্ষতা বা ছোপ ছোপ দাগ। এই পরিস্থিতিতে ত্বক বাঁচানোর সবচেয়ে ভালো উপায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
যেহেতু আমাদের দেশ গ্রীষ্ম প্রধান দেশ, তাই প্রতিদিনের সূর্যালোক, দূষণ, ধুলা, অতিরিক্ত দাবদাহ সহ্য করতে হয় ত্বককে। পাশাপাশি অনিয়মিত ঘুম ও মানসিক চাপও ত্বকের ক্ষতি করে গভীর ভাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেই ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কী?
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মূলত এক ধরনের প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম যৌগ। যা ফ্রি র্যাডিক্যাল নামক ক্ষতিকর অণুগুলো থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এই অণুগুলো ইউভি রশ্মি, দূষণ ও মানসিক চাপ থেকে তৈরি হয় এবং ত্বকের কোষ নষ্ট করে। এর ফলে বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা দেয় দ্রুত। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর প্রয়োজনীয়তা
দক্ষিণ এশিয়ার অনেক অঞ্চলের মানুষের ত্বকে মেলানিন-এর পরিমাণ কিছুটা বেশি থাকে। যা প্রাকৃতিক ক্ষতি থেকে ত্বককে কিছুটা সুরক্ষা দিলেও। হাইপারপিগমেন্টেশন, ট্যান ও রঙের তারতম্যের মতো সমস্যাগুলো থেকেই যায়। পাশাপাশি উচ্চ তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং অতিরিক্ত ইউভি রশ্মির কারণে ত্বক অধিকাংশ সময় সংবেদনশীল অবস্থায় থাকে। তাই প্রতিদিনের রুটিনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকা উচিত।
যে সব প্রাকৃতিক উপাদানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে
- হলুদ
• আমলকী
• তুলসী
• নিম
• গ্রিন টি
পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই উপাদানগুলো বহু বছর ধরে ঘরোয়া ত্বকচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
ত্বকচর্চায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যোগ করার উপায়
* সপ্তাহে একবার ঘরোয়াভাবে তৈরি হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার।
* সকালে ভিটামিন সি বা নিয়াসিনামাইড সিরাম ব্যবহার করা উচিত। এরপর অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
* গ্লুটাথায়ন জাতীয় মৌলিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জন্য লাল-সবুজ ফলমূল ও শাকসবজি খেতে হবে। যেমন কমলা, পেয়ারা, পালং শাক ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখুন।
ত্বক ভালো রাখতে শুধু বাহ্যিক ভাবে যত্ন নিলে চলবে না। ভেরত থেকে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। কারণ এটি আমাদের স্বাস্থ্য, জীবনযাপন ও মানসিক অবস্থার বাহ্যিক প্রকাশ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শুধু একটি পণ্য নয়, বরং প্রতিদিনের ত্বকচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।