ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট স্থায়ীভাবে বন্ধ করার কাজ শুরু হয়েছে। দেয়াল তুলে গেইটি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে উদ্যানের ভেতরে থাকা দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৬ মে ) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থায়ীভাবে গেইট বন্ধের কাজ দেখতে যান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার ঘটনাস্থল পুনরায় পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাংলা একাডেমির বিপরীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ১৪ মে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট স্থায়ীভাবে বন্ধ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়মিত তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে রমনা পার্কের মতো স্থায়ী উন্নয়নের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে শিগগিরই একটি তদারকি কমিটি গঠন, উদ্যানে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও লাইটের ব্যবস্থা করা, অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির পক্ষ থেকে একটি পুলিশ বক্স স্থাপন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে একটি নিরাপদ পার্ক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ হচ্ছে কিনা সেটি তদারকি করতে যান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য’র হত্যার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, সাম্য হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর তাগিদ দেন তিনি।