বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যাত্রা শুরু করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। সেদিন ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে বেশ ঘটা করে আত্মপ্রকাশ ঘটে দলটির। এদিকে সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে বিভিন্ন দলকে পক্ষে আনতে পারা স্বস্তি দিচ্ছে এনসিপি নেতাদের।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি অনেকেই করেছে। এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পক্ষ অতীতে এই দাবি সামনে এনেছে। তবে এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ অনেকটা হঠাৎ করেই প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বসে পড়ে আন্দোলন শুরু করেন সপ্তাহখানেক আগে।
পরে অন্য কয়েকটি দল ও সংগঠন আন্দোলনে যোগ দিলে সরকারের উপর চাপ তৈরি হয়। আল্টিমেটামের মুখে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত আসে সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে এরপর কী? রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপি কোন দাবি সামনে নিয়ে আসতে যাচ্ছে?
এমন প্রশ্নে দলীয় সুনির্দিষ্ট কোনও কর্মসূচি অবশ্য আপাতত নেই দলটিতে। তবে তাদের একটা দৃষ্টি আছে জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের দিকে। সরকার কী করে সেটা দেখতে চায় দলটি।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এই সময়ের মধ্যেই হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আমরা দেখলাম, এখনও সেটা হয়নি। এটাকে আমরা সরকারের তরফ থেকে ঢিমে-তালে চলার চেষ্টা হিসেবে দেখি। অভ্যুত্থানের এতোদিন পরও অভ্যুত্থানকে অস্বীকৃত অবস্থায় রাখার কোনও মানে নেই।”
‘সরকার এটার জন্য এখন ত্রিশ কার্যদিবস সময় নিয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যেই যেন এটা আদায় করা সম্ভব হয়, সেজন্য আমাদের মাঠের কর্মসূচি থাকবে। তবে আমাদের আহ্বান থাকবে এই সময়সীমা অতিক্রম করার মতো অবস্থায় যেন সরকার না যায়। এর জন্যও আমরা কাজ করবো,” বলেন আখতার হোসেন।
এর বাইরে গণপরিষদ নির্বাচন, সংস্কার, সংবিধান পুনর্লিখনের দাবি নিয়েও এনসিপি কাজ করতে থাকবে বলে জানান এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা