মুখের গঠন ঠিক করতে এবং আরও নিখুঁত করে তুলতে আজকাল অনেকেই প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্য নিচ্ছে। আর এসব সার্জারির মধ্যে বর্তমান সময় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় রাইনোপ্লাস্টি।
এই সার্জারির মাধ্যমে চ্যাপ্টা, বোঁচা, বাঁকা, ছোট বা বড় নাককে পেতে পারেন আপনার মনের মতো করে। শুধু তা-ই নয়, মোটা নাক সরু করতে কিংবা সরু নাক বড় করতেও রাইনোপ্লাস্টি উপযোগী।
নাকে আঘাত পেলে কিংবা কোনো জন্মগত ত্রুটি থাকলে সেটাও সারিয়ে তোলা যায় এই প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে। অনেক সময় দেখা যায়, নাকের গঠনের জন্য শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে, তখনো রাইনোপ্লাস্টির সাহায্যে এটি ঠিক করা সম্ভব।
রাইনোপ্লাস্টি খুব ছোট অস্ত্রপচার। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। সাধারণ কিছু পরীক্ষার পরই এই ধরনের অস্ত্রপচার করা হয়। বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে, যে কেউ এই সার্জারি করাতে পারবেন।
৫০-এর কোঠায় পৌঁছে অনেকেই শ্বাসকষ্টে সমস্যায় ভোগেন। নেপথ্যে যদি নাকের গঠন থাকে, তখন রাইনোপ্লাস্টি করা পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। রাইনোপ্লাস্টি করার পর ৭ দিনের মধ্যে আপনি সুন্দর নাক পেতে পারেন। তবে অস্ত্রপচারের পর নরম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে নাকের ওপর চাপ না পড়ে।
এই কসমেটিক সার্জারি আজকাল যে কেউ করাচ্ছেন। মডেল, ইনফ্লুয়েন্সার, অভিনেতা-অভিনেত্রী অনেকেই সাহায্য নেন রাইনোপ্লাস্টির। এই কসমেটিক সার্জারির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। কিন্তু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে এবং ভালো কসমেটিক সার্জেনের তত্ত্বাবধানে রাইনোপ্লাস্টি করা উচিত।