পেপ গার্দিওলার কাছে কোনো উত্তর নেই। ম্যানচেস্টার সিটির কোচ জানেন না, কেন আর্লিং হালান্ড পেনাল্টি নিলেন না, কেন শট নিলেন ওমর মার্মুশ। পেছনের কারণ বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরাও।
ম্যানইউ কিংবদন্তি ওয়েন রুনির ধারণা, ব্যর্থতার ভয় থেকেই পেনাল্টি নেননি হলান্ড। শনিবার রাতে ওয়েম্বলিতে এফএ কাপের ফাইনালে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে সিটি। ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় ম্যানসিটি।
আমি ভেবেছিলাম ও (হালান্ড) পেনাল্টি নিতে চাইবে। কিন্তু তারা কেউ কাউকে কিছু বলেনি। এটা একেবারে ম্যাচের মুহূর্তের ওপর নির্ভর করে। কার কী অনুভব হচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ।
পেপ গার্দিওলা, ম্যানসিটি কোচ
বিস্ময়করভাবে নিজে শট না নিয়ে মার্মুশকে পেনাল্টি নিতে দেন হালান্ড। মার্মুশ পেনাল্টি মিস করায় শেষ পর্যন্ত হারতে হয় সিটিকে। সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম ও (হালান্ড) পেনাল্টি নিতে চাইবে। কিন্তু তারা কেউ কাউকে কিছু বলেনি। এটা একেবারে ম্যাচের মুহূর্তের ওপর নির্ভর করে। কার কী অনুভব হচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তারা ঠিক করেছে, ওমার প্রস্তুত।’
এই এক মৌসুম আগেও হালান্ড ছিলেন ইউরোপের হটকেক। লিওনেল মেসি বিশ্বকাপ না জিতলে হয়তো ২০২৩ সালে ব্যালন ডি’অরটাও জিতে যেতে পারতেন তিনি। তবে সেই হালান্ড নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন এখন। তার দল সিটিও হারিয়ে খুঁজছে নিজেদের।
তবে একটা জায়গায় হালান্ড বেশ ধারাবাহিক। আর তা হলো যে কোনো কাপ ফাইনালে সিটির হয়ে পারফর্ম্যান্সের দিক থেকে। না, না! প্রশংসা ভেবে বসবেন না আবার, হালান্ড ধারাবাহিক নেতিবাচক অর্থে। ম্যানচেস্টার সিটিতে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত সাতটি ফাইনালে খেলেছেন আর্লিং হালান্ড। কিন্তু এখনও গোল বা অ্যাসিস্টের খাতাই খুলতে পারেননি এই নরওয়েজিয়ান তারকা।
এফএ কাপ, কমিউনিটি শিল্ড, চ্যাম্পিয়নস লিগ বা সুপার কাপ—সব প্রতিযোগিতার ফাইনালেই ব্যর্থ হালান্ড। সর্বশেষ এফএ কাপ ফাইনালেও গোল না পাওয়ায় আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন নরওয়েজিয়ান সেনশেসন।
সূত্র: যুগান্তর