বগুড়ায় চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। সোমবার (১৯ মে) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত একটানা মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হয়েছে। এসময় ৩৪.০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে।
টানা বৃষ্টিতে ড্রেন উপচে সড়কে হাঁটু পানি জমে। এসময় দুর্ভোগে পড়ে শহরে চলাচলকারীরা। শহরের সাতমাথা, বড়গোলা, সহ বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা গোলাম কবির জানান, অফিসে আসার সময় বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়, এরপর সড়কে হাঁটু পানি জমে, ছাতা নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে, রাস্তায় পানি জমে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। স্কুলে যাওয়ার পথে বৃষ্টির পানিতে ভিজেছেন শিক্ষার্থী রাহুল দেব।
তিনি জানান, সকালে আবহাওয়া ভালো দেখে বের হয়ে ফেরার সময় বৃষ্টিতে ভিজে গেছেন ছাতা না নিয়ে আসার জন্য।
স্কুল শিক্ষক অরুপ রতন ও মাহবুব সোহাগ জানান, বৃষ্টি হওয়ায় গরমের তীব্রতা থেকে আমরা রক্ষা পেলাম, কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে, বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে।
তবে সড়কে পানি জমে থাকায় চলাচলে কষ্ট হচ্ছে।রিক্সা চালক আলিনুর বলেন, বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে, তখন রিক্সা চালাতে সমস্যা হয়, রাস্তায় খানা খন্দক থাকায় আরো জটিলতা বাড়ে।
আবহাওয়া অফিস বগুড়ার পর্যবেক্ষক শাহ আলম জানিয়েছেন, রোববার রাতে থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে, এরপর আজ সকাল ছয়টা থেকে ৯টা পর্যন্ত একটানা মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হয়েছে। সকাল নয়টার পর থেকে ১০ টা পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি। আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান আবহাওয়া অফিস।
সূত্র: নিউজ টোয়েন্টিফোর