কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হিসেবে আখ্যায়িত করে তার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে শিক্ষক সমিতি। দ্রুত তাকে পদত্যাগ করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। এছাড়া একজন যোগ্য উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার জন্যও সরকারের কাছে দাবি জানান তারা। এসব দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শিক্ষক সমিতি। বুধবার দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সাধারণ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবির কথা জানায় শিক্ষক সমিতি।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে তারা ৪ মে থেকে ক্লাস বর্জন ও ১৮ মে থেকে প্রশাসনিক কাজ বর্জন করে আসছেন। কিন্তু তারপরও উপাচার্য তাদের দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এর মাধ্যমে উপাচার্য কুয়েটের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের প্রক্রিয়া আটকে রেখেছেন। ক্যাম্পাসে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘উপাচার্য দাপ্তরিক কাজের কথা বলে ১৯ মে ঢাকায় যান। শিক্ষকদের বলেছিলেন পরদিন ফিরে আসবেন। কিন্তু এখনও ক্যাম্পাসে ফিরে আসেননি। তিনি কুয়েটের যে গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন তা ফেরত পাঠিয়েছেন। তিন দিন ধরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও উপাচার্য কর্ণপাত করেননি। তিনি সবার দাবির প্রতি অবজ্ঞা দেখিয়েছেন। উপাচার্য তার অনুপস্থিতিতে যাকে রুটিন ওয়ার্ক করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি বুধবার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে লিখিতভাবে তাকে জানিয়ে দিয়েছেন। এ অবস্থায় কুয়েট এখন অভিভাবক শূন্য।’
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা বলেন, দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষকদের রাস্তায় নামতে হবে, এটা খুবই দুঃখজনক। এর আগে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শিক্ষকরা উপাচার্যের কক্ষ ও প্রশাসনিক ভবন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীদের এক গ্রুপ এসে তাদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন। তবে গত ৩ মাস ধরে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের অপর গ্রুপ আপাতত চুপচাপ রয়েছে। তারা কী করবে তা বুঝে উঠতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের পর থেকে কুয়েটে বন্ধ রয়েছে ক্লাস ও পরীক্ষা। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী। এখনও শুরু হয়নি নতুন ব্যাচের ক্লাস।
কুয়েট উপাচার্য মানববন্ধন