পরিবেশ বান্ধব ও বিশ্বের এক নম্বর ইলেকট্রিক স্কুটার ব্র্যান্ড ‘ইয়াদিয়া’র বেশ কয়েকটি আধুনিক মডেল বাজারে এনেছে রানার অটোমোবাইলস।
রোববার আগারগাঁও বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টার (বিসিএফসিসি)-তে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। বাজেট ফ্রেন্ডলি ও কম খরচে চলবে এই স্কুটার। তেল খরচ ছাড়া শুধু চার্জে চলবে এই বাহনটি।
রাইডারদের কাছে জনপ্রিয় এই মডেলগুলো হলো ইয়াদিয়া টি-ফাইড, এম-সিক্স, রুইবিন, জি ওয়ান ফিফটি-পি. জিটি-সিক্সটি ও ইএইটএস-টু হান্ড্রেড। আধুনিক ও আকর্ষণীয় এই মডেলগুলো অনুষ্ঠানে সবার সঙ্গে একে একে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া এই স্কুটারগুলোর আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ও বিভিন্ন ধারণা তুলে ধরা হয়। দেখানো হয় বিভিন্ন ফিচার ও ভিড়িও।
আমন্ত্রিত অতিথি এবং সাধারণ ক্রেতারা ভেন্যুতে স্কুটারগুলো টেষ্ট রাইড করার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। পরিবেশ বান্ধব ও সাশ্রয়ী এই ধরণের স্কুটার দেশের বাজারে আনার জন্য অনেকেই রানান গ্রুপের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান জানান, ক্রেতার সন্তুষ্টি আমাদের মূল লক্ষ্য এবং সেই বিবেচনায় পণ্যের গুণগত মান ও বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করবে ব্র্যান্ডটি।
রানার গ্রুপের চীফ বিজনেস অফিসার আবু হানিফ বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে আমাদের সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছি। পরিবেশ বান্ধব এই স্কুটারগুলোতে তেলের খরচ নেই শুধু চার্জে চলবে। একবার চার্জে যায় ৫০ থেকে ১২০ কিমি (মডেলভেদে)। প্রতি কিলোমিটারে খরচ ৩০ থেকে ৫০ পয়সা, যেখানে পেট্রোল বাইকে পড়ে ৩ থেকে ৪ টাকা। খুবই কম মেইনটেনেন্স লাগে এই বাহনগুলোতে। এতে গিয়ার নেই, ইঞ্জিন অয়েল নেই, অনেক কম যন্ত্রাংশ। বছরে একবার সাধারণ সার্ভিস দিলেই চিন্তামুক্ত চলবে। আমরা এই গাড়িগুলোর ওয়ারেন্টি নয় গ্যারান্টি দিচ্ছি। ২৪ মাস পর্যন্ত ব্যাটারি এবং মোটরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি প্রদান করছি। এই যানগুলোতে ব্যাটারি ঠিক থাকলে আর কিছুর দরকার হয় না। পরিবেশবান্ধব ও দূষণমুক্ত ভ্রমণ জন্য এই গাড়ি খুবই উপযোগী। তাছাড়া কালো ধোঁয়া ও শব্দ নেই। কার্বন নিঃসরণ নেই যা গ্রিন পরিবেশের জন্য আদর্শ। এখানে ডিজিটাল ডিসপ্লে, মোবাইল কানেকশন ও স্মার্ট লুক রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রানার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসাইন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল মু.ইস এবং ইয়াদিয়া জেনারেল ম্যানেজার অব গ্লোবাল সেলস জনাব হু সহ রানার অটোমোবাইলস পিএলসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল মু.ইস সবাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞা জ্ঞাপন করেন।
রানার অটোমোবাইলস স্কুটার বিসিএফসিসি