সর্বশেষ
স্টামফোর্ড আন্তঃবিভাগ বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন সাংবাদিকতা বিভাগ
১১ বছর পর কোয়ালিফায়ারে প্রীতির পাঞ্জাব
সৌদিতে ঈদের তারিখ ঘোষণা, বাংলাদেশে কবে?
লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনায় শঙ্কিত ভারত
ইসরায়েলি আগ্রাসন রুখতে হাত মেলালো ইরান-পাকিস্তান
অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন অভিষেক বচ্চন!
জাতীয় সংলাপ যেন চা-নাস্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে: রাশেদ খাঁন
শীতল পাটির সুদিন ফেরাতে প্রয়োজন উদ্যোগ
যেভাবে বাসা ভাড়া নেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ
রাত ১টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ৬ অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা
ড. ইউনূসের ‘৩৬০ ডিগ্রি কূটনীতি’: বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বসংযোগ
খালাসের রায়ের পর কারা হাসপাতালে এটিএম আজহারের মিষ্টিমুখ
সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন স্থগিত
সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো যাবে না: আখতার হোসেন
এবার এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি খামারে ইত্যাদির শুটিং

মুরগির মাংসেও ক্যানসারের ভয়? যা বলছে গবেষণা

অনলাইন ডেস্ক

বেশিরভাগ মানুষই মুরগির মাংস খেতে পছন্দ করেন। রেড মিটের তুলনায় এটি সহজে রান্না করা যায় এবং কম সময় লাগে। তাছাড়া দাম সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকেন।

কিন্তু সম্প্রতি দক্ষিণ ইতালিতে পরিচালিত একটি নতুন গবেষণা স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ৩০০ গ্রাম বা তার বেশি পরিমাণে মুরগির মাংস খাওয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

নিউট্রিয়েন্টস-এ প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি মুরগির মাংস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সারের ঝুঁকি ২.৩% বৃদ্ধি এবং সর্বজনীন মৃত্যুর ঝুঁকি ২৭% বৃদ্ধি পায়। নারীদের তুলনায় পুরুষদের এ ঝুঁকি বেশি।

তবে, পুষ্টি এবং ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ফলাফলগুলো সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।

মেমোরিয়াল কেয়ার ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের হেমাটোলজিস্ট-অনকোলজিস্ট ড. ওয়েল হার্ব বলেছেন, ‘এটি একটি পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা এবং এটি কার্যকারণ প্রমাণ করে না।’

তিনি বলেন, মাঝারি মানের মুরগির মাংস খাওয়া মেডেটেরিয়ান ডায়েটের মতো ব্যালান্স ডায়েটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।  এর ফলে ক্যান্সার ও হৃদরোগ হওয়ার হার অনেক কম।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, মুরগির মাংসের চেয়েও বেশি প্রভাব ফেলতে পারে এটি রান্নার পদ্ধতি। উচ্চ তাপমাত্রায় রান্নার পদ্ধতি, যেমন গ্রিল করা বা ভাজা, হেটেরোসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন (PAHs) এবং হেটেরোসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন (HCAs) এর মতো কার্সিনোজেনিক যৌগ তৈরি করতে পারে।

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের ডায়েটিশিয়ান ক্রিস্টিন কার্কপ্যাট্রিক আরও বলেন, ‘একটি সাধারণ বেকড মুরগির বুকের মাংস রুটিযুক্ত বা অতি-প্রক্রিয়াজাত হিমায়িত মুরগির নাগেটের মতো নয়। প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ।’

উভয় বিশেষজ্ঞই বর্তমান খাদ্যতালিকাগত নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। এতে প্রতি সপ্তাহে ৩০০ গ্রামের কম মাংস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে চামড়াবিহীন, ন্যূনতম প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং মাঝারি তাপমাত্রায় রান্না করা মাংস।

ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস বা কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের সপ্তাহে ২০০ গ্রাম চিকেন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে আমিষের যোগানের জন্য খাদ্য তালিকায় আরও মাছ, ডাল এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যোগ করা যেতে পারে।

 

ক্যান্সার

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ