সবজি থেকে শুরু করে চা – সবকিছু তৈরিতে আদা ব্যবহার করা হয়। এই সবজিটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। এটি খেলে অনেক গুরুতর রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ আদা, ঠান্ডা-কাশি সহ অনেক গুরুতর রোগের চিকিৎসায়ও কার্যকর। এতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান, যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, ক্লোরিন এবং ভিটামিন, শরীরকে অনেক রোগ থেকে দূরে রাখে।
নিয়মিত আদা খাওয়ার সুফল–
অ্যাসিডিটি দূর হয়: খাবার খাওয়ার পর যদি আপনার অ্যাসিডিটি এবং বুক জ্বালাপোড়া হয়, তাহলে আদা খান। এটি শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই খাবার খাওয়ার ১০ মিনিট পর এক কাপ আদার রস পান করুন।
বমি বমি ভাব এবং বমি কমানো: আদা বমি বমি ভাব এবং বমি কমাতে কার্যকর। নিয়মিত আদা খেলে বমি বমি ভাব এবং সকালের অসুস্থতার লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
হজম উন্নত করে: আদাতে জিঞ্জেরল নামক একটি জৈব সক্রিয় যৌগ থাকে, যা পাচক এনজাইমগুলিকে উদ্দীপিত করে হজম উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং পেট ফাঁপার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেও ভূমিকা রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আদাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
জয়েন্টের ব্যথা কমায়: আদার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি খেলে বা জয়েন্টে লাগালে ফোলাভাব এবং ব্যথা কমাতে পারে।
পিরিয়ডের ব্যথায় কার্যকর: আদা পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ব্যথা এবং খিঁচুনি কমাতে সাহায্য করে।
আদা কীভাবে খাবেন?
আদা সাধারণত চায়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয়। তবে বেশি উপকার পেতে চাইলে চায়ের পরিবর্তে আদার পানি পান করুন। আদার পানি তৈরি করতে, এটি কুঁচি করে নিন। এবার এক গ্লাস পানিতে কুঁচি করা আদা ফুটিয়ে নিন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা