ইতালির ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম শেষ হয়েছে রোববার রাতে। এবার নজর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দিকে। আগামী গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর যৌথ আয়োজনে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের জন্য বাছাই শুরু করছে ইতালি।
লুচিয়ানো স্পালেত্তির দলকে রাখা হয়েছে ‘আই’ গ্রুপে। এই গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ নরওয়ে, মলডোভা, এস্তোনিয়া ও ইসরায়েল। বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে আগামী ৬ জুন নরওয়ের মাটিতে খেলবে ইতালি। এরপর ৯ জুন তারা স্বাগতিক হিসেবে খেলবে মলডোভার বিপক্ষে।
ম্যানচেস্টার সিটির তারকা স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ডকে মাথায় রেখেই দলে ফেরানো হয়েছে ইন্টার মিলানের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ফ্রানচেসকো আচেরবিকে। ২০২৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল ও চলতি মৌসুমের আরেকটি ম্যাচে হালান্ডকে কার্যত নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিলেন আচেরবি।
তবে শেষ কিছু দিনে আরও একটা পরিচিতি দাঁড়িয়ে গেছে তার। চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে গোল করে বসেছিলেন এই আচেরবি। তার গোলেই নিশ্চিত বিদায় ঠেকায় ইন্টার, এরপর দাভিদে ফ্রাত্তেসির গোলে চলে যায় ফাইনালে। তবে ফ্রাত্তেসির গোলের চেয়ে আচেরবির লক্ষ্যভেদই বার্সাকে পোড়ায় বেশি, সে গোলটা না হলে যে নির্ধারিত সময়েই খেলা শেষ করে ফাইনালে চলে যেতে পারত দলটা।
সেই আচেরবিকে এবার জাতীয় দলে ডেকেছেন স্পালেত্তি। ৩৭ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার সর্বশেষ জাতীয় দলে খেলেছিলেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইউক্রেনের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র ম্যাচে।
তবে আচেরবির চেয়েও বেশি সময় পর জাতীয় দলে ফিরছেন, এমন খেলোয়াড়ও আছে ইতালির স্কোয়াডে। সেই নামটা হচ্ছে ৩৩ বছরে পা রাখতে যাওয়া দাভিদে জাপাকস্তা। জাতীয় দলে সবশেষ ডাকটা তিনি পেয়েছিলেন ২০২১ সালের নভেম্বরে। মাঠে নামার ইতিহাসটা আরও আগের। সর্বশেষ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ইতালির জার্সি গায়ে চড়িয়ে মাঠে নেমেছিলেন্ত ইনি।
দলে ফিরেছেন রিকার্দো ওরসোলিনিও। ইউরো ২০২৪-এর আগের প্রস্তুতি ম্যাচের পর তাকে আর দেখা যায়নি দলে। তবে চলতি মৌসুমে বলোনিয়ার হয়ে দারুণ ফর্মে ছিলেন তিনি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪০ ম্যাচে করেছেন ১৭ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট। এছাড়া দলের হয়ে জিতেছেন কোপা ইতালিয়ার শিরোপাও।
এছাড়া মিলানের তরুণ ডিফেন্ডার মাত্তেও গাব্বিয়া আবার ডাক পেয়েছেন। যদিও এখনো সিনিয়র দলে অভিষেক হয়নি তার। ২০২৪ সালের অক্টোবরে প্রথমবারের মতো দলে ডাক পেয়েছিলেন।
এদিকে, ইন্টার মিলানের ছয় ফুটবলার ৩১ মে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে অংশ নেবেন। তাই তারা জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ২ জুন থেকে।
স্কোয়াড:
গোলকিপার:
জিয়ানলুইজি ডনারুমা (প্যারিস সেন্ট জার্মেইন), আলেক্স মেরেত (নাপোলি), গুলিয়েলমো ভিকারিও (টটেনহ্যাম)
ডিফেন্ডার:
ফ্রানচেসকো আচেরবি (ইন্টার), আলেসান্দ্রো বাস্তোনি (ইন্টার), আলেসান্দ্রো বুয়নজর্নো (নাপোলি), আন্দ্রেয়া কাম্বিয়াসো (জুভেন্টাস), দিয়েগো কপোলা (হেলাস ভেরোনা), জিওভান্নি দি লরেঞ্জো (নাপোলি), ফেদেরিকো দিমারকো (ইন্টার), মাত্তেও গাব্বিয়া (মিলান), ফেদেরিকো গাত্তি (জুভেন্টাস), ডেস্টিনি উডোগি (টটেনহ্যাম), ডেভিদে জাপ্পাকস্তা (আতালান্তা)।
মিডফিল্ডার:
নিকোলো বারেল্লা (ইন্টার), চেসারে কাসাদেই (তোরিনো), দাভিদে ফ্রাত্তেসি (ইন্টার), ম্যানুয়েল লোকাতেল্লি (জুভেন্টাস), সামুয়েল রিচি (তোরিনো), নিকোলো রোভেলা (লাজিও), সান্দ্রো টোনালি (নিউক্যাসল)।
স্ট্রাইকার:
মইজে কিন (ফিওরেন্টিনা), লরেঞ্জো লুকা (উডিনেজে), দানিয়েল মালদিনি (আতালান্তা), রিকার্দো ওরসোলিনি (বলোনিয়া), জিয়াকোমো রাসপাদোরি (নাপোলি), মাতেও রেতেগুই (আতালান্তা)।
বিশ্বকাপ বাছাই ইতালির ফুটবল