সর্বশেষ
দীপিকা নয়, সন্দীপের পক্ষে দাঁড়ালেন রাশমিকা
সিরাজগঞ্জের ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু
২১ জুন ঢাকায় বড় সমাবেশ করতে চায় জামায়াত
নতুন ফ্যাসিবাদের আগমন ধ্বনি শোনা যাচ্ছে: আনু মুহাম্মদ
যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সি জিনপিংয়ের মেয়েকে বহিষ্কারের দাবি উঠল
বৈরী আবহাওয়ায় ঢাকায় নামতেই পারলো না চারটি বিমান, উড়ে গেলো চট্টগ্রাম
ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার হবে
রাজধানীতে ২ যুবককে পিটিয়ে হত্যা
হাতিয়ায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ ১৯
জাপান থেকে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বৈষম্যবিরোধী নেত্রীকে মারধর, গ্রেপ্তার ৬
বিজিএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
সুন্দরী প্রতিযোগিতার পরে ফ্যাশনেও নজর কাড়ছেন নীলা, দেখুন তাঁর ১৫টি আকর্ষণীয় লুক
খুশকি দূর করার ঘরোয়া টোটকা
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় ৫৩ রাজনৈতিক দল

দেশের সব গণতান্ত্রিক দলই ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়

অনলাইন ডেস্ক

১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেছেন, ‘২০২৫ সালের ডিসেম্বরে কেবল একটি দল নয়, দেশের সব দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলই নির্বাচন চায়। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই দেশের মুক্তি ও উন্নতির অভিমুখ নিশ্চিত করে। বারবার তা প্রমাণিত হয়েছে।’

আজ শুক্রবার (৩০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোটের নেতারা এ কথা বলেন। জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম এদিন দুপুরে এ বিবৃতির কথা নিশ্চিত করেন।

জাপান সফররত প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, ‘এক কথায় নিরেট মিথ্যাচার করেছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূস। কেবল একটি দলই নয়, দেশের সব গণতন্ত্রপন্থি দল স্পষ্টভাবে গত ৯ মাস ধরে ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলে এসেছে। বরং তিনি নিজেই কিছু মৌলবাদী, জনসমর্থনহীন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনৈতিক দলকে পাশে নিয়ে নির্বাচনের প্রশ্নটিকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছেন, করছেন।’

১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, ‘আমরা ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে দফায় দফায় এ বছরের জুনের মধ্যেই নির্বাচনের কথা বলেছি। দেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো বক্তব্য, বিবৃতি এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বারবার এই কথা উচ্চারণ করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস হয়তো ভুলে যাচ্ছেন তিনি কথার মারপ্যাচ দিয়ে তার গতি রক্ষা করতে পারবেন না। পদত্যাগের নাটক করেও পারবেন না। বাংলাদেশের জনগণ তার নাটকবাজি বুঝে গেছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি ড. ইউনূস যেসব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই স্বৈরাচারী সরকারের পদলেহনকারী এবং স্বৈরাচারী হাসিনার আঁচলের নিচে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। আমি ও ডামি নির্বাচন প্রতিরোধে তাদের ন্যূনতম কোনও ভূমিকা ছিল না। ভোট বর্জনের বিষয়েও তারা ছিলেন নীরব।

এমনকি জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তাদের কোনও ভূমিকা ছিল না। নিজের পায়ে চলতে পারে না এমন অনেক জন সম্পর্ক বিহীন নেতৃত্বকে ডেকে তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এবং গণঅভ্যুত্থনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী দল ও নেতাকে অপমান করেছেন, অবজ্ঞা করেছেন। তার এই অশোভন আচরণে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত দল এবং নেতারা ব্যথিত এবং দুঃখিত।

বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১, ১৯৯০ সালে, এমনকি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে জীবনক্ষয়ী সংগ্রাম করেছে, তার মূলে ভোট ও নির্বাচন ছিল উল্লেখ করে ১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, তিনি কূটকৌশলে ক্ষমতা প্রলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন কয়েকজন উপদেষ্টা।

তারা বলেন, আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও নানাভাবে বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা চাই, দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের চাওয়া অন্তবর্তী সরকার পূরণ করবে। ড. ইউনূসকে সরকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অন্তবর্তী কাজ করার জন্য, স্থায়ী কোনও কাজ নয়। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন করতে হবে। আগে প্রয়োজন নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা। পাশাপাশি চলবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার। ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া চলমান হয়েছে।

অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে দেশ মহাসংকটের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান ১২ দলীয় জোট নেতারা। তারা বলেন, না হলে দেশের মানুষই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তখন তিনি মৌলবাদী ও জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলকে পাশে পাবেন না। তার পরিণতি যেন আফগানিস্তানের পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আশরাফ গনি আহমদজাইয়ের মতো না হয়।

বিবৃতিতে সই করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপির) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন।

 

 

পিএনপি

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ