পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পরিচানা পর্ষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সংগঠনটির ২০২৫-২৭ মেয়াদের নেতৃত্ব নির্বাচনে শনিবার (৩১ মে) সকাল ৮টা থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
ঢাকার র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেল ও র্যাডিসন ব্লু হোটেল চট্টগ্রাম বে ভিউতে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এরপর পরিচালকরা সংগঠনের সভাপতি, সহসভাপতিসহ সাংগঠনিক নেতৃত্ব ঠিক করবেন।
এবারের নির্বাচনে ৩৫ পরিচালকের বিপরীতে তিনটি প্যানেলের মোট ৭৬ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। ফোরাম এবং সম্মিলিত পরিষদ প্যানেল সব পরিচালক পদে প্রার্থী দিলেও, আরেক প্যানেল ঐক্যজোট পরিষদ দিয়েছে ছয়টিতে।
নির্বাচনি ইশতেহারে ১২ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সম্মিলিত পরিষদ। এ প্যানেল লিডার আবুল কালাম। আর ফোরাম তাদের ইশতেহারে ১৪ দফা তুলে ধরেছে; এ প্যানেলের লিডার মাহমুদ হাসান খান। অপরদিকে মোহাম্মদ মহসিনের নেতৃত্বে ঐক্য পরিষদ প্যানেল ১৬ দফা ইশতেহার দিয়েছে।
ভোটগ্রহণে এবার ব্যাপক কড়কড়ি আরোপ করেছে বিজিএমইএ নির্বাচন বোর্ড। ভোটের নিরাপত্তায় ঢাকার কেন্দ্র র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের ভেতরে-বাইরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সকালে ঢাকার র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে গিয়ে দেখা গেল, প্রার্থী ছাড়া ভোট কেন্দ্রের সামনে কাউকে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না।
হোটেলের সামনে মোবাইল ফোন জমা রেখেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হচ্ছে ভোটারদের।
এমনকি তিন প্যানেলের সর্মথকদেরও ভোট শুরু হওয়ার পরে হোটেলের সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
হোটেল ফটকের সামনে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে নিজ নিজ প্যানেলের সমর্থন চেয়ে ভোট চাইতে দেখা যায় কর্মীদের।
এবারের নির্বাচনে কেবল সচল কারখানার উদ্যোক্তাদের ভোটার করায় ভোটার সংখ্যা কমেছে। আগের নির্বাচনে ২ হাজার ৪৯৬ জন ভোটার হলেও এবার এ সংখ্যা ১ হাজার ৮৬৫। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৫৬১ জন ও চট্টগ্রামে ভোটার ৩০৩ জন।
প্রার্থী কারা
সম্মিলিত পরিষদের ঢাকার প্রার্থী হয়েছেন– আবুল কালাম, ফারুক হাসান, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, আবদুল্লাহ হিল রাকিব, আসিফ আশরাফ, মশিউল আজম সজল, মোস্তাজিরুল শোভন ইসলাম, আশিকুর রহমান, ফিরোজ আলম, মো. নুরুল ইসলাম, সৈয়দ সাদিক আহমেদ, মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, মো. শাহদাৎ হোসেন, মহিউদ্দিন রুবেল, রেজাউল আলম মিরু, আবরার হোসেন সায়েম, মোহাম্মেদ কামাল উদ্দীন, সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী সাগর, তামান্না ফারুক থিমা, মির্জা ফায়েজ হোসেন, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, লিথি মুনতাহা মহিউদ্দিন, এ কে এম আজিমুল হাই, মাঞ্জুরুল ফয়সাল হক, এস এম মনিরুজ্জামান ও মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান।
সম্মিলিত পরিষদের চট্টগ্রামের প্রার্থীরা হলেন– এস এম আবু তৈয়ব, রাকিবুল আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ মুসা, অঞ্জন কুমার দাশ, নাফিদ নবি, সৈয়দ মোহাম্মেদ তানভীর, মোস্তফা সারোয়ার রিয়াদ, মো. আবসার হোসেন ও গাজী মো. শহীদ উল্লাহ।
ফোরাম প্যানেলের ঢাকার প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, কাজী মিজানুর রহমান, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, ইনামুল হক খান, হাসিব উদ্দিন, মোহাম্মদ সোহেল, শেখ এইচ এম মোস্তাফিজ, ভিদিয়া অমৃত খান, মোহাম্মদ আব্দুল রহিম, শাহ রাঈদ চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম, এ বি এম শামছুদ্দিন, নাফিস উদ দৌলা, সুমাইয়া ইসলাম রোজালিন, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মজুমদার আরিফুর রহমান, মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া, ফাহিমা আক্তার, আসেফ কামাল পাশা, রশীদ আহমেদ হোসাইনী, রুমানা রশীদ, সামিহা আজিম, রেজোয়ান সেলিম ও ফয়সাল সামাদ।
ফোরামের চট্টগ্রামের প্রার্থীরা হলেন– সেলিম রহমান, মোহাম্মদ সাইফ উল্যাহ মানসুর, মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী, এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাকিফ আহমেদ সালাম, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, মির্জা আকবর আলী চৌধুরী ও রিয়াজ ওয়াইজ।
অপরদিকে ঐক্যজোট পরিষদের প্রার্থী হলেন– মোহাম্মদ মহসিন, দেলোয়ার হোসাইন, খালেদ এমডি ফয়সাল ইকবাল, এ কে এম আবু রায়হান, এমডি মহসিন অপু ও শেখ এরশাদ উদ্দিন।
বিজিএমইএ নির্বাচনি বোর্ডের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল।