চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিংয়ের মেয়ে সি মিংজেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন দেশটির কট্টর ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকার লরা লুমার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি দাবি করেন, সি মিংজে এখনো যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং তাকে চীনা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা দিচ্ছেন।
সি মিংজে ২০১৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সে সময় তিনি ‘চেং হান’ ছদ্মনামে পড়াশোনা করতেন। মার্কিন সাময়িকী দ্য নিউইয়র্কার-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্নাতক শেষ করে তিনি চীনে ফিরে যান এবং এরপর থেকে আড়ালে রয়েছেন।
তবে লুমারের দাবি, তিনি এখনো ম্যাসাচুসেটসে অবস্থান করছেন। যদিও এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি তিনি।
লুমারের অভিযোগ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাপ
লুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে লেখেন, সি জিনপিংয়ের মেয়েকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করো। তিনি ম্যাসাচুসেটসে থাকেন এবং হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেছেন। আমার সূত্র অনুযায়ী, পিএলএ সদস্যরা তাকে সুরক্ষা দেয়।
তিনি এই পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প, জে ডি ভ্যান্স, মার্কো রুবিওসহ রিপাবলিকান শীর্ষ নেতাদের ট্যাগ করেন এবং তার অনুসারীদের এই ইস্যু ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
মার্কিন রাজনীতিতে চীনা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান
এই ঘটনা এমন সময় সামনে এসেছে, যখন মার্কিন রাজনীতিতে চীনা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ঘোষণা দিয়েছেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা ‘সংবেদনশীল’ বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা হবে। রিপাবলিকান সিনেটর এরিক শ্মিট তো সরাসরি একটি বিলও উত্থাপন করেছেন, যার মাধ্যমে সিসিপি সদস্য ও তাদের পরিবারের শিক্ষার্থী ভিসা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট
হার্ভার্ড বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে টানাপোড়েনে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ‘অত্যধিক আশ্রয়দাতা’ ও ইহুদিবিদ্বেষের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া চীনা প্রভাবের অভিযোগও উঠেছে।
চীনের প্রতিক্রিয়া
চীন যুক্তরাষ্ট্রের এসব পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, শিক্ষা সহযোগিতা ও বৈধ শিক্ষার্থী অধিকার হস্তক্ষেপমূলক আচরণের শিকার হওয়া উচিত নয়। চীন যুক্তরাষ্ট্রকে সব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
চীন