পৃথক দুই মামলায় ৬ দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক সংসদ সদস্য ও কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে উপস্থিত করা হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইভি আক্তার শুনানি শেষে মমতাজ বেগমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কড়া পাহারায় মমতাজ বেগমকে মানিকগঞ্জ আদালতে আনা হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সিংগাইর থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলা এবং হরিরামপুর থানায় দায়ের করা ভাঙচুর এবং মারামারির মামলায় তাকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে আজ তাকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, মামলার প্রথম দিন আদালত চত্বরে মমতাজ বেগমকে লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে আদালত এলাকায়।
১২ মে রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ১৩ মে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদিন আদালতে নির্বাক ছিলেন মমতাজ। শুনানি শেষে গারদে নেওয়ার সময় তাঁকে ধাওয়া দেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে ঢাকা ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন থানায় হত্যা ও হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন মমতাজ বেগম। তিনি ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে সদস্য মনোনীত হন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন মমতাজ। ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদের কাছে পরাজিত হন। আর সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তাঁকে উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে খুব একটা সক্রিয় দেখা যায়নি।
রিমান্ড শুনানি মমতাজ বেগম কাশিমপুর কারাগার