এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, নানা কারণে বিভিন্ন সময় অপ্রদর্শিত অবস্থায় থেকে যাওয়া অর্থ বৈধ করতে আগ্রহীদের জন্য ‘এক্সিট রুট’ রাখতেই সীমিত পরিসরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ উপদেষ্টার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বাজেটে প্রস্তাবিত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা বিষয়ক প্রশ্নে এমন কথা বলেন তিনি।
সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা। সেখানে অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন খাতে বিনিয়োগ করে বৈধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে সেজন্য বর্তমানের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি কর দিতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ‘বৈষম্যবিরোধী’ চেতনার বাজেটেও অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ রাখা যে ‘ভালো কিছু হয়নি’ তা সংবাদ সম্মেলনে মেনে নেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আমরা বলছি না যে খুব ভালো জিনিস করে ফেলছি কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে।
অর্থ উপদেষ্টার এ বক্ত্যব্যের আগে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, একটি ‘এক্সিট রুট’ রাখার জন্যই সীমিত পরিসরে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার যে বিধান ছিল সেটা নতুন সরকার আসার পর পরই আমরা বাতিল করে দিয়েছি। কালো টাকার আরেকটা প্রবিধান ছিল যা ৩০ জুন শেষ হচ্ছে। সেটাকে আমরা মেয়াদ বাড়াইনি। সেটা ছিল যদি কেউ জমি অথবা ফ্ল্যাট-বাড়ি কিনে তাহলে একটু বেশি কর দিলে এটার ওপর সরকার কিংবা অন্য কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন করবে না। এটাও আমরা বাড়াই নাই।
তিনি বলেন, ফ্ল্যাট কিংবা জমি কিনলে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে কর দিলে এনবিআর এ বিষয়ে আর কোনো প্রশ্ন করত না। সেটা আমরা একটু যৌক্তিক করেছি। দুইভাগে ভাগ করেছি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, যারা নিজের জমিতে বাড়ি করবে, তারা অনেক সময় বিদেশ থেকে টাকা আনছে। অনেক সময় তারা বৈধ চ্যানেলে (ব্যাংকের মাধ্যমে) টাকা আনেন না। নানা কারণে এসব টাকা অপ্রদর্শিত অবস্থায় থেকে যায়, তাই তাদের যদি একটা এক্সিট রুট থাকে, তাই আমরা বলেছি কর দিয়ে এটা ঘোষণা দিলে তা মেনে নেব।
তিনি বলেন, এর মানে এই না যে অন্য কোনো সংস্থা এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না। অন্য সংস্থাও প্রশ্ন করতে পারবে। এই টাকাও আমরা দ্বিগুণ করে দিয়েছি। আগে যা দেওয়া লাগত এখন দ্বিগুণ দিতে হবে।