সর্বশেষ
রিজওয়ানকে আর অধিনায়কত্বে চায় না পাকিস্তান, নতুন অধিনায়ক কে?
আরেকটা বিয়ে করলেই সৎবাবা, শাকিবকে কটাক্ষ ওমর সানীর
যমুনা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ টোল আদায়
‘কালো মানিক’ উপহার হিসেবে নেবেন না খালেদা জিয়া, চেয়েছেন দোয়া
যেসব এলাকার ব্যাংকে আজ রাত ১০টা পর্যন্ত টাকা তোলা যাবে
দিনাজপুরে আজ ঈদ উদযাপন করছে দুই হাজার পরিবার
ছোট্ট সন্তানের লাশ নিয়ে বাবার বিলাপ, ‘ও আমার আয়েশা তুই কোথায় গেলিরে’
যমুনা সেতু মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজট
ট্রাম্পকে একহাত নিলেন ইলন মাস্ক, ‘আমি না থাকলে জিততে পারতো না’
৮ বিভাগে ঈদের জামাত কখন কোথায়
পদ্মা ও যমুনা সেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড
বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ছোট ভাইয়ের
দেশে স্টারলিংকের মতো আরও স্যাটেলাইট ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান আসতে আগ্রহী
যেসব ফোনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইউটিউব
মহাকাশ থেকে সময়ের আগেই খসে পড়ছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট

ঈদের ছুটিতে সরকারি হাসপাতালে ১৭ নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আজহার ছুটিতে হাসপাতালগুলোতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ১৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২৮ মে অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বুধবার সমকালকে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে-

১. জরুরী বিভাগে প্রয়োজনে অতিরিক্ত চিকিৎসক পদায়ন পূর্বক সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

২. জরুরী বিভাগ ও লেবার ঘুম, ইমারজেন্সি ওটি, ল্যাব সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

৩. কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া যেতে পারে।

৪. প্রতিষ্ঠান প্রধান নিরবচ্ছিন্ন জরুরী চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ছুটি মঞ্জুর করবেন।

৫. সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালক-কে অবহিত করে শুধু মাত্র ঈদের ছুটিকালীন সময়ে নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় করতে পারবেন।

৬. হাসপাতালের অন্তঃবিভাগ ইউনিট প্রধানেরা দৈনিক তাদের বিভাগীয় কার্যক্রম তদারকি করবেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সমূহে জরুরি সেবা, এক্স-রে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনকল সেবা চালু রাখতে হবে।

৭. ছুটি শুরু হবার পূর্বেই ছুটিকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, আইডি ফ্লুইড, কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুদ ও তাৎক্ষণিক ভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্টোর কিপার অথবা ছুটি কালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফ অবশ্যই নিজ জেলা ও উপজেলায় অবস্থান করবেন।

৮. অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।

৯. ছুটিকালীন সময়ে হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগাম পত্র দিতে হবে।

১০. ছুটিকালীন সময়ে সকল স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপণ বিষয়ক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

১১. প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ জুটি কালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করবেন।

১২. প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাবেন এবং দায়িত্ব গ্রহণকারী কর্মকর্তা সকল দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর উধর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।

১৩. প্রতিষ্ঠান প্রধান ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি করবেন এবং রোগীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

১৪. বহিঃবিভাগ একাধারে ৭২ ঘণ্টার অধিক বন্ধ রাখা যাবে না। এর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।

১৫. সকল বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের অধীনে সার্বক্ষণিক জরুরি ও প্রসূতি বিভাগ খোলা রাখবে। খ) কোন রোগী রেফার করার আগে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা এবং যাত্রাপথের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

১৬. পশুর হাটের নিকটবর্তী স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হবে।

১৭. যেকোন দুর্যোগ, অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুম-কে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ