সর্বশেষ
যমুনা সেতু মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজট
ট্রাম্পকে একহাত নিলেন ইলন মাস্ক, ‘আমি না থাকলে জিততে পারতো না’
৮ বিভাগে ঈদের জামাত কখন কোথায়
পদ্মা ও যমুনা সেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড
বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ছোট ভাইয়ের
দেশে স্টারলিংকের মতো আরও স্যাটেলাইট ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান আসতে আগ্রহী
যেসব ফোনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইউটিউব
মহাকাশ থেকে সময়ের আগেই খসে পড়ছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট
সিগন্যাল ভেঙে সেতুতে উঠেছিল অটোরিকশা, ট্রেনের ধাক্কায় ঝরল শিশুর প্রাণ
২৩ মাস পর ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত রুমা-থানচি
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
লিখিত আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস মা ও শিশুর জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ
বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে ট্রাম্প-শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ
কোহলিদের শিরোপা উৎসবে পদদলনে হতাহতরা পাবেন বড় ক্ষতিপূরণ

মা এখনও বুঝতে পারছেন না ছেলে ও নাতিরা আর কখনোই ফিরবে না

অনলাইন ডেস্ক

ঈদে ঢাকা থেকে শেরপুরের গ্রামের বাড়ি ফিরতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাবা ও ২ ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাসাইল উপজেলার করটিয়া বাইপাসে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ওই তিনজন নিহত হন।

নিহতরা হলেন, শেরপুর সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের কামারেরচর গ্রামের আমজাদ মণ্ডল (৫৫) এবং তার দুই ছেলে রাহাত মণ্ডল (২৬) ও অতুল মণ্ডল (১৪)। এছাড়া আহত হয়েছেন আমজাদ মণ্ডলের স্ত্রী মাকসুদা বেগম (৩৫) ও ছেলে রাহাতের স্ত্রী মরিয়ম (১৮)। নিহত আমজাদ ঢাকায় ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন। তারা গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে স্ব-পরিবারে ঢাকা থেকে মাইক্রোবাসযোগে বাড়ি ফিরছিলেন।

নিহতদের স্বজনেরা জানান, আমজাদ মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার মাদারটেক এলাকায় সপরিবার বসবাস করতেন। ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে একটি মাইক্রোবাসযোগে শেরপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাসাইল উপজেলার করটিয়া বাইপাসে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসটি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই আমজাদ মণ্ডল ও তার দুই ছেলে রাহাত ও অতুল নিহত হন। আহত হন আমজাদের স্ত্রী মাকসুদা বেগম ও ছেলে রাহাতের স্ত্রী মরিয়ম।

পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ আমজাদ মণ্ডলের গ্রামের বাড়িতে যোগাযোগ করে তিনজনের মৃত্যুর কথা জানায়।

সরেজমিনে কামারেরচর এলাকায় নিহতদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, নিহতদের গ্রামের বাড়িতে একসঙ্গে তিনটি খাটিয়ায় রাখা হয়েছে লাশ। বাড়ির অদূরে পারিবারিক কবরস্থানে ৩টি কবর খোঁড়া হয়েছে। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে গ্রামের পরিবেশ। ছোট ভাই ও দুই ভাতিজাকে হারিয়ে কিছুক্ষণ পরপর মূর্ছা যাচ্ছিলেন সফর উদ্দিন মণ্ডল। এ সময় তাদের স্বজন ও গ্রামের নারী–পুরুষ বাড়িতে ভিড় করছিলেন। আমজাদ মণ্ডলের মা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি বুঝতে পারছেন না তার ছেলে ও দুই নাতি আর কখনোই ফিরে আসবেন না।

নিহত আমজাদ মণ্ডলের ভাই সফর উদ্দিন মণ্ডল বলেন, ঈদ করার জন্য আমার ভাই, ভাতিজা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি আসছিল। আমাকে বলেছিল, বাড়ি এসে হাট থেকে কোরবানির জন্য গরু কিনবে। কিন্তু একটা দুর্ঘনায় সব শেষ হয়ে গেল।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহত আমজাদ মণ্ডলের ছোট বোন মোর্শেদা বেগম বলেন, সকালে হঠাৎ পুলিশের ফোনে আসে। সেখান থেকে জানানো হয়, আমার ভাই ও তার দুই ছেলে আর নেই। প্রতিবছর আমার ভাই এসে আমাদের সঙ্গে ঈদ করত। এবার সব উলটপালট হয়ে গেল। আল্লাহ আমাদের এই কষ্ট কেমনে দিলা। আমগর তো আর ঈদ করা অইলো না। ভাইরে ছাড়া কেমনে ঈদ পার করমু।

কামারেরচর গ্রামের বাসিন্দা মো. মজনু বলেন, ঈদ করতে পরিবার নিয়ে বাড়ি আসছিলেন আমজাদ মণ্ডল। কিন্তু একটি দুর্ঘটনায় সব শেষ। একসঙ্গে তিনজনের জানাজা করতে হল। রাতেই নিহতদের জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। তাদের এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

সড়ক দুর্ঘটনা      করটিয়া বাইপাস      ঢাকা

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ