সর্বশেষ
৪৭ বছর পর এশিয়া কাপ খেলতে হলে যা করতে হবে বাংলাদেশকে
লন্ডনে ইউনূস-তারেক বৈঠক রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে: ফখরুল
কম আলোচনায় থাকা ‘উৎসব’ মুক্তির পর দর্শক ভালোবাসায় সিক্ত
বন্যায় নষ্ট ধান নিয়ে কৃষকের মাথায় হাত
প্লেগ ব্যাকটেরিয়ার শতাব্দীর পর শতাব্দী টিকে থাকার রহস্য উদঘাটন!
৩৬ জেলাকে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি, থাকছে নানা সুযোগ-সুবিধা
স্বস্তিতে রাজধানীতে ফিরছেন কর্মজীবীরা
নানা পরিচয়ের পাশাপাশি সানি লিওন একজন বোল্ড ফ্যাশনিস্তা
দূষিত বায়ুর শহরে আজ ঢাকা পঞ্চম
লন্ডনে শুক্রবার ড. ইউনুসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের সম্ভাবনা
পচা ও টাটকা জাম চিনবেন যেভাবে
দাওয়াতের সময় নবীজি (সা.)-এর আমল ও দোয়া
স্বামীর সিদ্ধান্তে খুলে নেওয়া হতে পারে তানিন সুবাহর লাইফ সাপোর্ট
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দাবি করে অধিকার আদায় করতে হবে না

দাওয়াতের সময় নবীজি (সা.)-এর আমল ও দোয়া

অনলাইন ডেস্ক

দাওয়াত শুধু খাবারের আয়োজন নয়—এ এক আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অসাধারণ সুযোগ। যেখানে এক টেবিলে বসে ভাগ হয় আন্তরিকতা, স্নেহ আর ভালোবাসা। যুগ যুগ ধরে ধর্ম-বর্ণ, জাতিগোষ্ঠী বা ভৌগোলিক সীমানা ছাড়িয়ে এই সংস্কৃতি বয়ে চলেছে আপন রূপে। অতিথি আপ্যায়ন তো নবী-রাসুলদের জীবন থেকেও শেখা এক অনুপম শিক্ষা। তাই দাওয়াত শুধু সামাজিক রীতি নয়, বরং মানবিক বন্ধনের এক চিরায়ত অনুশীলন।

কেউ দাওয়াত দিলে তার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া, তার কল্যাণের জন্য দোয়া করা উচিত। এটা মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা। রাসুলুল্লাহ (সা.) কারও বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে মেজবানের জন্য দোয়া না করে ফিরতেন না।

আবুল হাইসাম (রা.) একবার নবী করিম (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের দাওয়াত করলেন। খাওয়া শেষে নবীজি (সা.) বললেন, তোমাদের ভাইকে সওয়াব দান করো। তাঁরা বললেন, আমরা তাঁকে কীভাবে সওয়াব দান করব? তিনি বললেন, কাউকে যখন কোনো ঘরে খাওয়ার জন্য ডাকা হবে, তখন পানাহার করার পর সে যদি মেজবানের জন্য (নিমন্ত্রণকারীর জন্য) দোয়া করে, তাহলে সেটিই হবে মেজবানের জন্য সওয়াব পৌঁছানো।

মহানবী (সা.) একবার সাদ বিন উবাদা (রা.)-এর ঘরে দাওয়াত খেয়ে দোয়া করেছেন, ‘আকালা তা-আমাকুমুল আবরার, ওয়াসাল্লাত আলাইকুমুল মালায়িকা, ওয়া আফতারা ইনদাকুমুস সায়িমুন।’

অর্থ: ‘আল্লাহ এমন করুন, যেন (এমনভাবে) নেককার লোকেরা তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশতাগণ যেন তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া করে এবং রোজাদারগণ যেন তোমাদের বাড়িতে ইফতার করে।’ (সুনানে আবু দাউদ)

আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের বাড়িতে খাবার খেয়ে এই দোয়া করেছেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফি-মা রাজাকতাহুম, ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তাদের যে রিজিক দিয়েছেন, তাতে বরকত দান করুন, তাদের ক্ষমা করুন এবং তাদের প্রতি দয়া করুন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৭৬)

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ