দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়ার কাজটি করে লিভার। তবে ভুল খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অল্প বয়সেই অনেকেই লিভারের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু খাবার নিয়মিত খেলে লিভার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অতিরিক্ত তেল-ঝালযুক্ত ও ভাজা খাবার
এই ধরনের খাবারে ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকে, যা লিভারের উপর প্রচণ্ড চাপ ফেলে। এই ফ্যাট লিভারে জমে গিয়ে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা তৈরি করে, যার ফলে লিভারে প্রদাহ ও ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে যায়।
অত্যধিক চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার
কেক, পেস্ট্রি, কোল্ড ড্রিঙ্কস-এর মতো খাবার লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমিয়ে দেয় এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ-এর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন
এটি লিভারের সবচেয়ে বড় শত্রু। এটি লিভারের কোষ ধ্বংস করে সিরোসিস, হেপাটাইটিস এবং এমনকি লিভার ক্যানসারের কারণ হতে পারে। অধিক পরিমাণে অ্যালকোহল গ্রহণ করলে লিভার ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, যার ফলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ জমে যেতে থাকে।
লবণের অতিরিক্ত ব্যবহার
লবণের অতিরিক্ত ব্যবহারে শরীরে পানি জমে যায় এবং লিভারে প্রদাহ দেখা দিতে পারে। এতে লিভারের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হয় এবং গুরুতর ক্ষেত্রে লিভার ফেলিওরের মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত লবণ পরিহার করা উচিত।
রেড মিট ও প্রক্রিয়াজাত মাংস
সসেজ, বেকন ইত্যাদির মতো খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও প্রিজারভেটিভ থাকে, যা লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে ও দীর্ঘমেয়াদে লিভার ক্ষয় করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিভারকে সুস্থ রাখতে এই খাবারগুলো পরিহার করা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।